গোবিন্দগঞ্জ সংবাদদাতাঃ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জে নকল প্রসাধনী উৎপাদন, প্যাকেট, বাজারজাত ও সাংবাদিক লাঞ্ছিতকারী সেই আহসান হাবীব চপলকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে মহিমাগঞ্জের শ্রীপতিপুর কর্মকার পাড়ায় (ইউপি ভবন সংলগ্ন) অবস্থিত কারখানা থেকে তাকে আটক করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ইজার উদ্দিন।
জানা যায়, মহিমাগঞ্জে দীর্ঘদিন থেকে গোপনে বাসায় কারখানা স্থাপন করে দেশী-বিদেশি ব্র্যান্ডের নকল প্রসাধনী উৎপাদন, প্যাকেট ও বাজারজাত করে আসছিল আহসান হাবীব চপল। বিষয়টি গোপনসূত্রে খবর পেয়ে তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহে প্রিণ্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার একাধিক সাংবাদিক দুপুরে সেখানে উপস্থিত হন। এসময় কৌশলে সাংবাদিকদের কারখানায় অবরুদ্ধ করে তাদের লাঞ্ছিত করে আহসান হাবীব চপল ও তার সহযোগিরা। পরে ভুক্তভোগীদের একজন গোবিন্দগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
এ ঘটনায় সাংবাদিকদের ধারণকৃত কারখানার বিভিন্ন নকল ব্র্যান্ডের স্টিকার, উৎপাদিত পণ্যের প্যাকেটজাতকরণ ও কাঁচামালের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরের দিন সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে সর্বমহল থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ ঝড় তোলে নেটিজেনরা।
ঘটনার পরের দিন (মঙ্গলবার ২৮ জুন) দুপুরে জেলা ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তারা ওই কারখানায় উপস্থিত হয়। সুচতুর আহসান হাবীব চপল এদিন কারখানাটি থেকে সকল নকল ব্র্যান্ডের স্টিকার, উৎপাদিত পণ্য ও কাঁচামাল সরিয়ে নতুনভাবে ভোক্তা অধিকারের সামনে উপস্থাপন করে। এসময় ভোক্তা অধিকারের জেলা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে গুঞ্জন ওঠে এবং নেটিজেনদের নানা নেতিবাচক কমেন্টেে ফেসবুক ওয়ালগুলো ভরে যায়।
এদিকে সাংবাদিক লাঞ্ছিতর ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জের সকল সাংবাদিকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করে। তারা অবিলম্বে আহসান হাবীব চপলকে গ্রেফতার ও অবৈধ ওই কারখানা সীলগালার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি হাতে নেয়। এরই প্রেক্ষিতে নকল প্রসাধনী তৈরীর কারখানা মালিক এবং সাংবাদিকদের লাঞ্ছিতকারী সেই আহসান হাবীবকে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।
থানা সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় একাধিক ধারায় আহসান হাবীব চপল ও তার সহযোগীদের আসামী করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয় (নং- ৫৯/২২)৷