হত্যা না দুর্ঘটনা;লাকসামে ৭ম শ্রেনীর মাদ্রাসা ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু !

আইন-অপরাধ আরো কুমিল্লা চট্টগ্রাম পরিবেশ শিক্ষা সারাদেশ
শেয়ার করুন...

লাকসাম প্রতিনিধিঃ 
কুমিল্লার লাকসামে ইক্বরা মহিলা মাদ্রাসার ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী সামিয়া আক্তার (১৩) নামে এক
শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে।

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে লাকসাম পৌরসভার সংলগ্ন এলাকার কামাল টাওয়ারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই শিক্ষার্থী জেলার নাঙ্গলকোট পৌরসভার নাগোদা গ্রামের প্রবাসী মিজানুর রহমানের মেয়ে।

নিহত ওই শিক্ষার্থীর লাশ ধানমন্ডি থানা পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।

এ ঘটনায় নিহত সামিয়ার মামা নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে লাকসাম থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।

শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনাটি হত্যা না দুর্ঘটনা এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।

জানা যায়, লাকসামে ইক্বরা মহিলা মাদ্রাসার আবাসিকে থেকে ৭ম শ্রেনীতে লেখাপড়া করতেন সামিয়া আক্তার।

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই শিক্ষার্থী মাদ্রাসার ৫ম তলার জানালার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে নিছে পড়ে যায় এবং শরীরের একটি অংশ থেঁতলে যায়। ওই শিক্ষার্থীর আত্ম চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় আমেনা মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় ও পরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করে। ওই শিক্ষার্থীর শরীরের ডান পাশের অংশটি থেঁতলে যায়।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকার ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন।

ঘটনার সংবাদ পেয়ে কুমিল্লা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ও লাকসাম সার্কেল অফিসার শোমেন মজুমদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এবং মাদ্রাসার প্রধানসহ শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দেন।

এদিকে ইক্বরা মহিলা মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক জামাল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন।

শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনাটি হত্যা না দুর্ঘটনা এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। উল্লেখ্য ঘটনার পরপর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কেন পুলিশকে ঘটনা সম্পর্কে জানায়নি, এই নিয়েও রয়েছে গুঞ্জন৷

লাকসাম থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.