কাজী মোস্তফা রুমি, বিশেষ প্রতিনিধি: আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, জাতীয় গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এইদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চলাইটের নীলনকসা অনুযায়ী আন্দোলনরত বাঙালীদের কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালীর ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরোচিত ও নিকৃষ্টতম গণহত্যা শুরু করে।
তাই আজকের এই দিনে ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের কালো রাত্রে যে সকল নিরস্র বাঙালি নৃশংসভাবে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দক্ষিণ টাঙ্গাইলের আওয়ামী রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র, নাগরপুর দেলদুয়ারের গণমানুষের নেতা, রাজপথ থেকে বিকশিত নেতৃত্ব, ৯৬ এর জনতার মঞ্চ আন্দোলনে রাজপথ কাঁপানো সাবেক তুখোড় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সংগ্রামী সহ-সভাপতি জননেতা তারেক শামস খান হিমু।
এ বিষয়ে জননেতা তারেক শামস খান হিমু গণমাধ্যমকে বলেন- ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের ভয়াল ২৫শে মার্চের কালরাত আজ, জাতীয় গণহত্যা দিবস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড দেখেনি বিশ্ব। আবার এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর বাঙালির দৃঢ় প্রতিরোধও অবাক বিস্ময়ে দেখেছে বিশ্ববাসী। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে ইতিহাসের ভয়াবহ এ হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করে। পূর্বপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী পূর্ণ সামরিক অস্ত্র নিয়ে রাত ১০টার পর দেশ জুড়ে শুরু করে এই জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ। শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ এড়িয়ে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া বাঙালি হত্যার নৃশংস নীলনকশা বাস্তবায়নের পথে পা বাড়ান। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী স্বাধীনতাকামী বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
শুরু হয় বাঙালির স্বাধীনতা যুদ্ধ। দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা পাই স্বাধীনতা।
তাই ২৫শে মার্চের কালো রাত্রিকে আমরা এক কথায় বলতে পারি-২৫ মার্চের ভয়াল কালরাত্রির গণহত্যা বিশ্ব ইতিহাসের কলংকময় অধ্যায়।