সড়ক নির্মাণে বালুর পরিবর্তে মাটি ও নিন্মমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ

আইন-অপরাধ আরো ঢাকা সারাদেশ
শেয়ার করুন...

জহুরুল ইসলাম হালিম, রাজবাড়ীঃ
রাস্তা পাকাকরণ কাজে নিন্মমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইউনুস এ্যান্ড ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইলে সড়ক নির্মাণে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা। মানসম্মত নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজটি দ্রুত শেষ করার দাবীও জানান তারা।

উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের সলুয়া গ্রামের মালঠিপাড়া থেকে বড়খোলা পর্যন্ত ২কিলোমিটারের অধিক দূরত্বের সড়কটির নির্মাণ কাজ করছেন মেসার্স ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। পাংশা উপজেলা প্রকৌশলী’র (এলজিইডি) অধিনে নির্মাণ কাজটি তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন সহকারি প্রকৌশলী মো. সাইফুর
রহমান।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, গত রমজান মাস থেকে সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হলেও মাঝে মধ্যেই বন্ধ রাখা হয় নির্মাণ কাজ। ইতিমধ্যে কাজটি শুরু হলেও তদারকি কর্মকর্তার উপস্থিতি অনিয়মিত হওয়ার কারণে তার অনুপস্থিতিতে নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বালুর পরিবর্তে মাটি এবং নিন্মমানের ইটের খোয়া।

স্থানীয় মো. মসলেম উদ্দিন মন্ডল বলেন, যে খোয়া দিয়ে কাজ করা হচ্ছে তা খুবই নিন্মমানের। আমারা এলাকার লোকজন অনেক বার বলেছি, কিন্ত তারা আমাদের কথার তোয়াক্কা না করে বলে এর থেকে ভালো খোয়া দেশে নাই।

বিপুল হোসেন বলেন, তারা ২-৩ নম্বর ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করছে। যে ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করা হচ্ছে তা হাত দিয়েই ভেঙে ফেলা যাচ্ছে। একেবারে পোড়া মাটির মত। এই রাস্তা এক বছরও টিকবে না বলে তার ধারণা।

আতর আলী মোল্লা বলেন, আমাদের বাড়ী নদী এলাকায়। এ জন্যে রাস্তাটা ভালো করে করার দরকার ছিল। এছাড়া এ রাস্তার কাজ অনেকদিন ধরে চলছে যার কারণে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইউনুস এন্ড ব্রাদাস এর স্বত্ত্বাধিকারী মো. সাচ্চু দাবী করে বলেন, তিনি সঠিক নিয়ম মেনে এবং মানসম্মত নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করছেন।

তদারকি কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাইফুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে অফিসিয়ালি কথা বলবো। অফিসের বাইরে কোন কথা বলবো না। আপনি অফিসে আসেন। পরবর্তীতে তার অফিসে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তাকে আবারও ফোন দেয়া হলে তিনি বলেন, আমি অফিসের বাইরে চলে এসেছি এখন কথা বলা যাবে না।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হাসান বলেন, নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ইতিপূর্বে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে নির্মাণ কাজ তদারকির জন্য সব সময়ই একজন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন এবং এই কাজে কোন প্রকার অনিয়ম হলে কাজ বাতিলের জন্য সুপারিশ পাঠাবো।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.