রাঙ্গামাটি সংবাদদাতাঃ
পাহাড়ি জেলা রাঙ্গামাটিতে অকটেনের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালানো বন্ধ রেখেছে চালকরা। এতে শনিবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লোকাল বাস কিংবা অন্যান্য পরিবহন না থাকায় পাহাড়ি জেলা রাঙ্গামাটির একমাত্র অভ্যন্তরীণ যোগাযোগমাধ্যম সিএনজিচালিত অটোরিকশা। সারাদেশে গ্যাসচালিত অটোরিকশা চলাচল করলেও পাহাড়ি সড়ক হওয়ায় রাঙ্গামাটিতে অকটেনে সিএনজি চলাচল করে। যে কারণে হঠাৎ অকটেনের দাম বাড়ায় সিএনজি অটোরিকশা চালানো বন্ধ রেখেছেন চালকরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, সকাল থেকে কিছু অটোরিকশা চলাচল করলেও যাত্রীদের সঙ্গে বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে বাকবিতণ্ডা বাধে অনেক চালকের। এক চালককে যাত্রীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছেন চালকরা। এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চালকরা সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রাখেন এবং অন্যান্য চালকদের গাড়ি চালাতে বাধা প্রদান করেন।
কয়েকজন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক জানান, হঠাৎ করেই অকটেনের দাম ৪৬ টাকা লিটারে বেড়েছে। ৮৯ টাকার অকটেনের দাম এখন ১৩৫ টাকা। এভাবে তো পুরোনো ভাড়া নিয়ে গাড়ি চালানো সম্ভব না। তাই আমরা গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছি।
কলেজ শিক্ষার্থী রচনা ব্যানার্জি বলেন, সকালে সিএনজি অটোরিকশা করে কলেজ গিয়েছিলাম। কিন্তু পরীক্ষা শেষে কোনো গাড়ি না থাকায় এই গরমের দিনে হেটে আসতে হলো।
শুধু রচনা’ই নয়; রাঙ্গামাটির একমাত্র অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ পরিবহন অটোরিকশা বন্ধ থাকার কারণে শহরের মোড়ে মোড়ে অপেক্ষারত যাত্রীদের দেখা গেছে। গাড়ি না পেয়ে গন্তব্য পৌঁছাতে পারেননি অনেকেই।
রাঙ্গামাটি জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু জানান, চালকরা সবাই মিলে সিএনজি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা তাদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত। ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডায় এক চালককে যাত্রীরা মারধর করেছে। এখন আমরা ভাড়া পুননির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত গাড়ি চালাব না।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) হাসান মোহাম্মদ শোয়াইব জানান, আগামীকাল (রোববার) সকাল ১১টায় জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত উদ্ভূত পরিস্থিতি বিষয়ক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।