শাহরাস্তির গর্ব প্রয়াত সাবেক সচিব ডঃ এম এ সাত্তারের ৩০ তম মৃত্যুবার্ষিকী

চট্টগ্রাম বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ
শেয়ার করুন...

মো.শাহ আলম ভূঁইয়াঃ বাংলাদেশ গণশিক্ষা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, বাংলাদেশ নারী শিক্ষার অগ্রদূত, মসজিদভিত্তিক শিক্ষার রুপকার এবং বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ড. এমএ সাত্তার ১৯৩২ সালের ১ জুন চাঁদপুর জেলাধীন শাহরাস্তি উপজেলার নাওড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

তার বাবার নাম আজিজুর রহমান,মাতার নাম করফুলেন্নেছা।

তিনি শাহরাস্তির নিউ স্কিম হাই মাদ্রাসায় (বর্তমানে শাহরাস্তি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়) অধ্যয়ন করেন এবং জুনিয়র বৃত্তি লাভ করেন। তারপর তিনি চট্টগ্রামে হাই মাদ্রাসায় ভর্তি হন এবং এই মাদ্রাসা হতেই ১৯৫১ সালে প্রথম স্থান অধিকার করে মেট্রিক পাস করেন।

তিনি ১৯৫৩ সালে ঢাকা কলেজ থেকে মেধা তালিকায় সপ্তম স্থান অধিকার করে আইএ প্রথম বিভাগে পাস করেন।
১৯৫৬ সালে তিনি অর্থনীতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে তৃতীয় স্থান লাভ করেন।

১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি লোক প্রশাসনে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন এবং একই সাথে সিএসপি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সারা পাকিস্তানে প্রথম স্থান অধিকার করে লাহোর সিভিল সার্ভিস ট্রেনিং একাডেমিতে যোগদান করেন।।
এক বছর ট্রেনিং শেষ করে তিনি যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসনে ডিপ্লোমা ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৬০সালে সিএসপি অফিসার হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।১৯৬২ সালে জার্মান নাগরিক ড. এলেন মেরি হেরিংটনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

ড. সাত্তার ১৯৬৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের উইলিয়াম কলেজ থেকে ডেভলপমেন্ট ইকনমিক্সে এম এ ডিগ্রি লাভ করেন এবং ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টাফটস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৭১সালে মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করার কারনে পাকিস্তান কারাগারে বন্দি ছিলেন।

ড. সাত্তার ব্যক্তি জীবনে চার জন পুত্র সন্তানের জনক। তারা সবাই সুশিক্ষিত এবং প্রতিষ্ঠিত।

তিনি ১৯৯২সালের ২৬ মে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

শাহরাস্তির কৃতি সন্তান ড. সাত্তারের অবদানের ফলশ্রুতিতে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার শিক্ষার হার ৯৬% ভাগে উন্নীত হয়েছে। ড. এমএ সাত্তারের নাম শাহরাস্তি তথা চাঁদপুরবাসীর হৃদয়ে চিরদিন অমলিন হয়ে থাকবে।

image_pdfimage_print

শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.