কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা প্রতিনিধঃ
লাকসাম উপজেলা পরিষদের সামনে প্রায় ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু মুরাল এখন উপজেলা পরিষদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিলের অর্থায়নে কান্দিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মা এন্টারপ্রাইজ ৩২ লাখ, ৯৮ হাজার, ১ শ ৮৫ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে উক্ত মুড়াল নির্মাণ করেছিল।
কিন্তু এই মুরাল এখন উপজেলা পরিষদের গলার কাঁটা। উল্লেখ্য গত ৫ আগস্টের পর বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার হাতে বিধ্বস্ত হওয়া এই মুরালটি! সে অর্থে বিশাল ব্যয়ের টাকা সম্পূর্ণ জলে গেছে৷
সুত্র বলছে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে উপজেলা পরিষদের নতুন কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সামনে বিশাল মাঠ। এই মাঠ ও উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে নির্মিত বঙ্গবন্ধু মুরালটি পুরো কমপ্লেক্সের সৌন্দর্য নষ্ট করেছে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা।
নিশাত এন্টারপ্রাইজ ও মা এন্টারপ্রাইজ নামে দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উক্ত কাজের টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে মা এন্টারপ্রাইজ কার্যাদেশ প্রাপ্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু মুরাল নির্মাণ কাজ সমাপ্তির পাশাপাশি বিল ও জামানতের টাকাও উত্তোলন করে নিয়েছে। বিশাল অংকের উক্ত মুরাল নির্মাণের ব্যয় নিয়েও রয়েছে ব্যাপক সন্দেহ।
৫ আগস্ট পরবর্তীতে মা এন্টারপ্রাইজের মালিক ওমর ফারুক চেয়ারম্যান আত্মগোপনে থাকাকালীন সময়ে (অক্টোবর মাসে) জামানতের টাকা উত্তোলন হয়েছে। একজন চেয়ারম্যান সরকারের সাথে ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়িত থাকতে পারবেনা মর্মে সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে শতকোটি টাকার কাজ করেছে লাকসামের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি।
আত্মগোপনে থাকা ব্যক্তির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জামানতের টাকা কিভাবে উত্তোলন হইলো এ নিয়েও রয়েছে ব্যাপক সমালোচনা।