লাকসামে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে খরিফ-২ মৌসুমে অতিবৃষ্টি, বন্যা ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্য বোরো ধানের (উফসী বীজ), বোরো ধানের (হাইব্রিড বীজ), শীতকালীন শাক সবজির বীজ ও হাইব্রীড সবজির বীজ, রাসায়নিক সার ও নগদ সহায়তা বিতরণ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ উইং এর যুগ্ম সচিব জনাব মোঃ খোরশেদ আলম। বীজ এবং রাসায়নিক সার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কাউছার হামিদ এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি), সিফাতুন নাহার। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মোঃ আল-আমিন।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) ৩৪০০ জন কৃষকের মাঝে ১ বিঘা জমির জন্য বোরো ধানের ৫ কেজি উফসী বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ, ৩২০০ জন কৃষকের মাঝে বোরো ধানের (হাইব্রীড) বীজ ১ বিঘা জমির জন্য (২ কেজি), শীতকালীন শাকসবজির বীজ ও নগদ সহায়তা ৭০০ জন কৃষকের মাঝে এবং শীতকালীন (হাইব্রিড) সবজির বীজ, রাসায়নিক সার ও নগদ সহায়তা ৭০০ জন কৃষকের মাঝে বিতরণের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মো: খোরশেদ আলম কৃষকদের আশ্বস্ত করে বলেন দেশে সারের কোন ঘাটতি নেই এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে সবাইকে সার কেনার জন্য তিনি উৎসাহ প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছি, যাতে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত না হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, আমন মৌসুমে জমি পতিত থাকায় এবং বন্যায় জমিতে পলি জমার কারণে রাসায়নিক সারের ব্যবহার তিনের একাংশ কমিয়ে আনতে হবে। অতিরিক্ত মাত্রায় সার ব্যবহারে ফসলে রোগ ও পোকামাকড় আক্রমণ বেড়ে যায়।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ফৌজিয়া আক্তার, সহকারী অতিরিক্ত পরিচালক, বিএডিসি (সার), জনাব মোঃ শাহাদাত হোসাইন, অতিরিক্ত কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, জনাব আলী আহমেদ, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সহ অন্যান্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বৃন্দ।