লক্ষ্মীপুরে শিক্ষকের উপর সন্ত্রাসী হামলা

আইন-অপরাধ চট্টগ্রাম পরিবেশ শিক্ষা শিক্ষা সাহিত্য সারাদেশ
শেয়ার করুন...

সোহেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর থেকেঃ
লক্ষ্মীপুরের ২০১৭ইং সালে এস এস সি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারায় জেলা সদরের টুমচর আসাদ একাডেমীর ভৌত বিজ্ঞান শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিনকে বেধড়ম মারধর করেছে একই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুরাদসহ ৬/৭ জনের একদল বখাটে।
শনিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের পাশে প্রবেশমুখে এমন হামলার শিকার হয়েছেন শিক্ষক হেলাল উদ্দিন।
গুরুতর আহত শিক্ষককে অন্য শিক্ষক উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে তিনি।
আহত শিক্ষক সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের গন্ধব্যপুর এলাকার লকিয়ত উল্যার ছেলে ও প্রাক্তন ছাত্র মুরাদ ২১নং টুমচর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আবুল কাসেমের ছেলে।
ঘটনা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে প্রতিদিনের ন্যায় বাড়ি থেকে মটরসাইকেল যোগে শিক্ষক হেলাল উদ্দিন বিদ্যালয়ে আসেন। বিদ্যালয়ে প্রবেশমুখে উৎপেতে থেকে গতিরোধ করে বখাটেরা । পরে গতিরোধের বিষয় জানতে চাইলেই মুরাদসহ ৬/৭ জন বখাটে যুবক লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় বলতে থাকে “২০১৭ইং সালের তোর কারণে টেষ্ট পরীক্ষায় অংশ নিতে পারিনি। তোর কারণে বিদ্যালয়ের থাকার সময় পরীক্ষায় নকল করতে পারিনি। আজ তোকে পাইছি” এক পর্যায়ে কিল-ঘুষি-লাথি দিয়ে মারাত্মক জখম করে ওই শিক্ষককে। এসময় শিক্ষকের হাতে থাকা মোটরসাইকেল টিও ভাঙচুর করে তারা।
হাসপাতালের চিকিৎসাধীন শিক্ষক হেলাল উদ্দিন জানান বিগত ২০১৭ইং সালে টেষ্ট পরীক্ষায় ফেল করার কারণে মুরাদ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি ওই সময়ে দায়িত্বরত অধ্যক্ষ তাকে সুযোগ দেয়নি। আমি কোন অন্যায় করিনি তারপরও মুরাদের নেতৃত্ব ৬-৮ জন সন্ত্রাসী আমার উপর হামলা করে এবং মটরসাইকেল ভাংচুর করে। হামলকারী সবাইকে আমি চিনিনা শুধু মুরাদকে চিনতে পেরেছি।
টুমচর আসাদ একাডেমী অধ্যক্ষ ফারজানা নুর জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক। প্রাক্তণ ছাত্র কি ভাবে শিক্ষকের উপর হামলা করে। আমরা বিদ্যালয়ে সব শিক্ষক বসেই আজই সিদ্ধান্ত নিবো এই ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রক্রিয়া চলছে।

বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন জানান, ছাত্র হয়ে শিক্ষকের উপর এ ভাবে প্রকাশ্যে হামলা মেনে নেওয়া যায়না। আশাকরি জড়িতরা শাস্তি পাবে। বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
হামলার বিষয়টি এখনো জানাতে পারেনি বলে জানিয়েছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোস্তফা কামাল। তবে গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে শুনেছেন। অভিযোগ পেলে এই ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান ওসি।

image_pdfimage_print

শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.