মোঃ আনিছুর রহমান আনাছ
রাজারহাট (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ রাজারহাট উপজেলার সাত ইউনিয়নে উৎসবমুখর আমেজে পালিত হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ব বৃহৎ শারদীয় দূর্গা পুজা।
শিষ্টের চারণ দুষ্টের দমন করতে মা দূর্গার আগমন।শরতকালে এই পূজা শ্রী রাম অকাল বধনে দুষ্টের দমনে শক্তি অর্জনে মা দূর্গার আগমনের জন্য প্রার্থনা করেন।আজ থেকে দুই হাজার বছর আগে ত্রিতার্থযুগে শ্রী রাম দূর্গা পুজা শুরু করেন।
তখন থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্যের সাথে এই পুজা অর্চনা করে আসছেন।
গত ৬ই অক্টোবর মহালয়ায় দূর্গা পুজা শুরু হয়ে ষষ্ঠী,সপ্তমী,অষ্টমী,নবমী তে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সকল বয়সীর নারী-পুরুষ তারা দূর্গা মায়ের কাছে আরাধনা করে মনবাসনা পূরনের জন্য প্রার্থনা করেন।দশমীতে মা দুর্গা কে বিসর্জন দিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের পূজা শেষ করবেন।
উপজেলা প্রশাসনের কঠোর তৎপরতায় শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর আমেজে উপজেলার ১২৮টি পূজা মন্ডবে পালিত হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ব বৃহৎ শারদীয় দূর্গা উৎসব।
রাজারহাট উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অজয় সরকার শারদীয় দূর্গা পুজা নির্বিঘ্নে সম্পূর্ণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় সন্তষ্টি প্রকাশ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে ধন্যবাদ জানান।
এবিষয়ে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু সরকার বলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ব বৃহৎ উৎসব শারদীয় দূর্গা পুজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর আমেজে পালন করতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে তৎপর রয়েছে।
এছাড়াও আমাদের টহল টিম উপজেলার সকল পুজা মন্ডবে নিয়মিত টহল দিচ্ছেন।
এবিষয়ে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরে তাসনিম বলেন শারদীয় দূর্গা পুজা উদযাপনে সরকারের পক্ষ থেকে উপজেলার ১২৮টি পুজা মন্ডবে ৫০০কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও দুস্ত ও অসহায়দের জন্য উপজেলা প্রশাসনের ত্রাণ কার্যক্রম চলমান আছে।