মোঃ আনিছুর রহমান আনাছ রাজারহাট (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়ন ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন সহ বেশ কিছু এলাকা তিস্তায় আকস্মিক বন্যায় কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হন।গত ২০ শে অক্টোবর সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে বাড়তে থাকে।তিস্তার উত্তরে ভারত সরকারের পানি নিয়ন্ত্রণ ফারাক্কা বাধের ৪২ টি গেট খুলে দেওয়া হয়।
ফলে মহুর্তে নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়লে তিস্তাপাড়ের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন।গত ২১ শে অক্টোবর কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসেন।
বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের দুঃখ দুর্দশা নিজ চোখে দেখেন এবং সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রণালয় কে অবগত করেন।এরেই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার দুপুরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াসাম ও বগুড়া পাড়া সহ বন্যাকবলিত বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন করেন এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের পূর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলী ও রাজারহাট উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী,তারা প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিস্তা নদীর ভাঙ্গনরোধে স্থায়ী সামাধানে তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।জাফর আলী বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেন তিস্তা নদী খনন করে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে এনে স্রোতের গতিপথ পরিবর্তন করে দেন।তবেই নদীভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবেন এই এলাকার মানুষ।আমরা চির ঋনী থাকবো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।উপরে আল্লাহ নিচে তিনি ছাড়া আমাদের সাহায্য করার আর কেউ নেই।
প্রধান অতিথি মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান তার স্বাগত বক্তব্যে তিস্তা পাড়ের নদী ভাঙ্গনের শিকার ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের নদী শাসনের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব মোঃমোহসীন,কুড়িগ্রাম দুই আসনের সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব পনির উদ্দিন আহমেদ,কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম,পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা,উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরে তাসনিম,অফিসার ইনচার্জ রাজু সরকার সহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।