জহুরুল ইসলাম হালিম, রাজবাড়ী সংবাদদাতাঃ
স্কুলছাত্র নাহিদ হাসান মৃদুল (১৭) হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদন্ড, ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছে রাজবাড়ীর জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগষ্ট) দুপুরে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন এ রায় দেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের ছালাম মন্ডলের ছেলে রুবেল মন্ডল (২১)। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো, সদর উপজেলার কামালদিয়াকান্দি গ্রামের খলিল মন্ডলের ছেলে রাফিজুল মন্ডল (২৬), বড়মুরারীপুর গ্রামের হান্নান সরদারের ছেলে পিয়ারুল (২১), কালুখালী উপজেলার বাস্তখোলা গ্রামের মো. মাছেমের ছেলে রায়হান (২১), রাজবাড়ী পৌর শহরের সজ্জনকান্দা গ্রামের টাবলুর ছেলে মো. পিয়াল (২০)। এবং বেকসুর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, রামচন্দ্রপুর গ্রামের রমজানের ছেলে মো. এলেম (২২) ও ২নং বেড়াডাঙ্গা এলাকার গোলাপ আলী ফকিরের ছেলে ফরিদ ফকির (২৭)। এ মামলায় রায়হান, পিয়াল ও ফরিদ এখনো পলাতক রয়েছেন।
নিহত মৃদুল রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের আগমারাই গ্রামের আব্দুল মোমিন মোল্লার ছেলে ও রাজবাড়ী ইয়াছিন উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন।
আদালত ও মামলাসূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৯ জুন দুপুরের দিকে কয়েকজন যুবক নাহিদ হাসান মৃদুলকে রাজবাড়ী ইয়াছিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ডেকে রাজবাড়ী রেলওয়ে গ্যারেজের পিছনে নিয়ে উপর্যক্তপুরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের দুদিনপর ২০১৪ সালের ২১ জুন নিহতের বাবা আব্দুল মোমিন মোল্লা বাদী হয়ে রাফিজুল মন্ডল, রুবেল, পিয়ারুল, রায়হান, এলেম, পিয়াল, ফরিদসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬জনকে আসামী করে রাজবাড়ী সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও কাগজপত্র পর্যালোচনা শেষে এ রায় প্রদান করেন। মামলায় এজাহারভূক্ত অপর দুই আসামি এলেম ও ফরিদের বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাড. মো. উজির আলী শেখ বলেন, স্কুল ছাত্র নাহিদ হাসান মৃদুল হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদন্ড, ৪ জনকে যাবজ্জীবন ও ২ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছে বিচারক।
আসামী পক্ষের আইনজীবি এ্যাড. মোহাম্মদ নেকবার হোসেন মনি বলেন, আসামীরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত। আমরা উচ্চ আদালতে আপীল করবো।