কাসা রোসাদায় ডিয়েগো ম্যারাডোনার কফিন। পাশেই রাখা বিশ্বকাপের প্রতিকৃতি। এখান থেকে ম্যারাডোনাকে বেল্লা ভিস্তায় সমাহিত করা হয়।
কাসা রোসাদায় ডিয়েগো ম্যারাডোনার কফিন। পাশেই রাখা বিশ্বকাপের প্রতিকৃতি৷
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী? ফুটবল–বিশ্ব সেটাই জানে, ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর পরও তা অব্যাহত থাকবে। কে সেরা—এই প্রশ্নে যুক্তিতর্ক হয়তো কখনো শেষ হবে না। কিন্তু পেলে ভেতরে-ভেতরে ম্যারাডোনাকে যে ভালোবাসতেন, শ্রদ্ধা করতেন, সেটা না বললেও চলে। ম্যারাডোনার ক্ষেত্রেও কথাটা সমান প্রযোজ্য। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির শেষযাত্রায় পেলে তাই চুপ করে থাকতে পারেননি। পুষ্পস্তবক ও আবেগঘন বার্তা পাঠিয়েছেন ম্যারাডোনাকে। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘টিওয়াইসি স্পোর্টস’ খবরটি জানিয়েছে এভাবে—‘ও রেই’ (রাজা) আর্জেন্টাইন নক্ষত্রকে নিজের মুকুট পাঠিয়েছেন।
ম্যারাডোনাকে সমাহিত করা হয়েছে বুয়েনস এইরেস শহর থেকে একটু দূরে বেল্লা ভিস্তা সমাধিক্ষেত্রে। তার আগে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেনশিয়াল ভবন কাসা রোসাদায় রাখা হয়েছিল ম্যারাডোনার কফিন। সেখানে শেষশ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে নেমেছিল জনতার ঢল। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষও হয়েছে ম্যারাডোনার ভক্তদের। পেলের পাঠানো শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার পুষ্পস্তবক বহনকারী গাড়ি তখন কাসা রোসাদায় ঢুকতে পারেনি। জনতা ঘিরে রেখেছিল গাড়িটি। কয়েক দফা চেষ্টা করেও গাড়িটি কাসা রোসাদায় ঢুকতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত সমাধিক্ষেত্র বেল্লা ভিস্তা নিয়ে যাওয়া গাড়িটি। সেখানেই অর্পণ করা হয় পুষ্পস্তবক।
ম্যারাডোনার মৃত্যুতে গোটা বিশ্ব যে শোকে মুহ্যমান হবে, সে তো জানাই। পেলের হৃদয়ও ভেঙেছে। সেটি তিনি বুঝিয়ে দেন ম্যারাডোনার মৃত্যুর পরপরই। সর্বকালের সেরার প্রশ্নে ম্যারাডোনার সঙ্গে যাঁর বিতর্ক জমেছে সবচেয়ে বেশি, সেই পেলে টুইট করেছিলেন, ‘কী দুঃখের খবর। আমি আমার অসাধারণ এক বন্ধুকে হারালাম। এখন অনেক কিছুই বলা হবে। আপাতত তার পরিবারকে শোক সহ্য করার শক্তি দিন সৃষ্টিকর্তা। আশা করি, আমরা একদিন স্বর্গে ফুটবল খেলব।’