মোংলায় ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে পুষ্প র‌্যালী-সমাবেশ

আরো খুলনা পরিবেশ সারাদেশ
শেয়ার করুন...

মোংলা সংবাদদাতাঃ
সাম্প্রতিক সময়ে বাগেরহাটের চিতলমারি এবং মোড়েলগঞ্জে ফেসবুকের কতিপয় পোস্টে ধর্মীয় অবমাননাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধের দাবী এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে মোংলায় ইমাম-পুরোহিত, ধর্মীয়-রাজনৈতিক এবং সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ’র অংশগ্রহণে পুষ্পর‌্যালী-সমাবেশ হয়েছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন, দি হাঙ্গার প্রোজেক্ট বাংলাদেশ’র ব্রেভ প্রকল্প ও সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ পিএফজি’র আয়োজনে ২৩ জুন বৃহস্পতিবার সকালে মোংলা উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ পুষ্পর‌্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত পুষ্পর‌্যালী ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন’র সাধারন সম্পাদক মো. নূর আলম শেখ। পুষ্পর‌্যালী ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার কমলেশ মজুমদার। পুষ্পর‌্যালী ও সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন, মোংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুল হায়দার ইকবাল, মিঠাখালি ইউপি চেয়ারম্যান উৎপল মন্ডল, দি হাঙ্গার প্রোজেক্ট’র ব্রেভ প্রকল্পের বাগেরহাট জেলা সমন্বয়কারী নাজমুল হুদা মিনা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপজেলা সুপারভাইজার আবু হোরায়রা, মাওলানা আইয়ুব আলী, পুজা উদযাপন পরিষদের পীযুষ কান্তি মজুমদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী. দি হাঙ্গার প্রোজেক্ট বাংলাদেশ’র মো. মিজানুর রহমান, নারীনেত্রী কমলা সরকার., ব্রেভ ইয়ুথ লিডার শেখ রাসেল, পরিবেশকর্মী হাসিব সরদার প্রমূখ। পুষ্পর‌্যালী পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ধর্ম যার যার রাস্ট্র সবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এই নীতিতে বাংলাদেশ পরিচালিত হবে। একটি মহল রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্যে চরিতার্থ করার জন্য সোশাল মিডিয়ার পোস্ট এবং গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টি করতে চায়। বক্তারা এরকম পরিস্থিতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ’র পাশাপশি সচেতন মহলকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি বজায় রাখতে কাজ করার আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন সকল ধর্মে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং মানব কল্যানের কথা বলা হয়েছে। তাই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও ঘৃণা ছড়িয়ে কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে সে ব্যাপারে সংশ্লিস্ট সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান বক্তারা। সমাবেশে শেষে রজনীগন্ধার শুভ্রতাকে শান্তি-সম্প্রীতির প্রতীক মনে করে সকল ধর্মীয়-রাজনৈতিক এবং সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ’র অংশগ্রহণে পুষ্পর‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.