মোঃ হুমায়ুন কবির মানিকঃ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ৬নং মৈশাতুয়া ইউনিয়নে জনসেবায় আত্মনিয়োগ করতে চান যুবলীগ নেতা রবিউল হোসেন। তিনি মৈশাতুয়া ইউনিয়নের গজরা পাড়া গ্রামের হাজী ফজলুর রহমানে জৈষ্ঠ্য পুত্র। রবিউল হোসেন মৈশাতুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এবং বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে উপজেলা ছাত্রলীগের রাজনীতিতেও তিনি প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন পেলে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
আওয়ামী পরিবারে বেড়ে ওঠা রবিউল হোসেন শৈশব থেকেই আওয়ামীপন্থী। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। শিক্ষাজীবন সমাপ্তির পর পৈত্রিক সূত্রে ব্যবসামুখী হন রবিউল হোসেন। গত দুই দশক ধরে তিনি সাফল্যের সাথে ঢাকার ফকিরাপুল এলাকায় পৈত্রিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘ফজলু এন্টারপ্রাইজ’ পরিচালনা করছেন। বর্তমানে তিনি নিজস্ব ব্যবসা এবং রাজনীতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ডেও অগ্রণী ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। ২০১৫ সাল থেকে নিজ গ্রাম গজরা পাড়ায় পিতা ফজলুর রহমান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘শহীদ সোলাইমান-মোস্তফা স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়’ এর পরিচালনা পর্ষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি বিভিন্ন উৎসব-আয়োজন এবং দুর্যোগকালে সাধ্যানুযায়ী নিজ এলাকার মানুষের পাশে থাকেন। মহামারী করোনার প্রারম্ভিককালে তিনি নিজস্ব অর্থায়নে মৈশাতুয়া ইউনিনের বিভিন্ন এলাকা এবং নিজ গ্রামের কয়েক শত পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা এবং নিজ গ্রামের সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি লোকচক্ষুর অন্তরালে কিছু সংখ্যক হতদরিদ্র পরিবারকে সার্বিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন।
এদিকে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে মৈশাতুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় নির্বাচনী আমেজ দেখা গেছে। সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে সৎ, পরিচ্ছন্ন, কর্মঠ ও পরোপকারী ব্যক্তি হিসেবে আওয়ামী পরিবারের সন্তান রবিউল হোসেনের নাম সর্বাধিক শোনা যাচ্ছে। স্থানীয় প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আরিফুর রহমান, গজরাপাড়া গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমান ও ইসলামপুর গ্রামের মাহবুবুর রহমানসহ আরো কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার সাথে আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রতিবেদকের কথা হলে তারা জানান, ‘বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা তৃনমূল পর্যায়ে ত্বরান্বিত করতে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মৈশাতুয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে আওয়ামী পরিবারের সন্তান রবিউল হোসেনের বিকল্প নেই। রবিউল হোসেনকে দলীয় মনোনয়ন দিতে তারা স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামের প্রতি অগ্রিম আবেদন জানান।’
প্রতিবেদকের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেলে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগ্রহ প্রকাশ করে রবিউল হোসেন বলেন, ‘আমি আওয়ামী পরিবারে বেড়ে উঠেছি। শৈশব থেকেই মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করেছি। এযাবৎ আমি আমার সর্বাত্মক দিয়ে নিজ এলাকার সর্বস্তরের মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমি মনে করি, জনপ্রতিনিধিত্ব হচ্ছে মানুষের সেবা করা ও মানুষকে ভালোবাসার অন্যতম মাধ্যম। এ লক্ষ্যেই আমি আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেলে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমার অতীত-বর্তমান, পারিবারিক বৃত্তান্ত এবং জনমত বিবেচনা করে আমাদের প্রিয়নেতা, মাননীয় এলজিআরডি মন্ত্রী, লাকসাম-মনোহরগঞ্জের অভূতপূর্ব উন্নয়নের মহানায়ক মোঃ তাজুল ইসলাম মহোদয় আমাকে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মৈশাতুয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেবেন। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের দিক-নির্দেশনা মোতাবেক আমার এলাকায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়, সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধসহ এলাকায় সকল প্রকার অসামাজিক কার্যকলাপের মূলোৎপাটনে অগ্রণী ভূমিকা রাখবো এবং নিত্য-নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও সামগ্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে মৈশাতুয়া ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে রূপান্তরিত করবো ইনশাআল্লাহ।’