কুমিল্লা দক্ষিন জেলা প্রতিনিধিঃ
মা আমি মরে যাচ্ছি, আমার মৃত্যুর জন্য সম্পূর্নভাবে দায় দায়ী “রাফি”, চিরকুটে এ কথা লিখে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ফারজানা আক্তার বৈশাখী (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রী।
মঙ্গলবার বিকালে লাকসাম পৌরসভার হাউজিং এলাকায় জাকির মিয়ার ভবন থেকে চিরকুটসহ তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ওই ছাত্রী ফারজানা আক্তার বৈশাখী কুমিল্লার হাই স্কুলের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে লাকসাম পৌরসভার বাইপাস হাউজিং এলাকার বাসিন্দা মৃত ফরিদ মিয়া ও জেসমিন আক্তারের মেয়ে।
ভুক্তভোগী নিহতের মা জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেন রাফি’র বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত রাফিকে গ্রেপ্তার করে বুধবার সকালে তাকে কুমিল্লা আদালতে পাঠিয়েছে।
চিরকুটে লেখা ব্যক্তি ও গ্রেফতারকৃত শাহাদাত হোসেন রাফি নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের সোনাবেড়ী এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পৌরশহরে বাইপাস হাউজিং স্টেট এলাকায় জাকির মিয়া ভবনের একটি কক্ষ ভাড়ানিয়ে থাকেন মৃত ফরিদ মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও তার সন্তানেরা। স্কুল ছাত্রী ফারজানা আক্তার বৈশাখীকে ঘরে রেখে মা রোজিনা আক্তার প্রতিদিনের মত একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাজে চলে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে কাজ শেষে বাসায় এসে দেখতে পায় তার মেয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে। তখন তার আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে পুলিশ খবর দেয়। থানা পুলিশ চিরকুটসহ ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে। চিরকুটে লেখা রয়েছে মা আমি মরে যাচ্ছি, পারলে আমাকে মাপ করেদিও……….. আমার মৃত্যুর জন্য সম্পূর্নভাবে দায় দয়ী শাহাদাত হোসেন রাফি। লাকসাম থানা পুলিশ ওই স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে পাঠিয়েছে।
এ ব্যাপারে লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। নিহতের মা বাদী হয়ে শাহাদাত হোসেন রাফিকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেন রাফিকে গ্রেফতার করে বুধবার সকালে কুমিল্লা আদালতে পাঠানো হয়েছে।