কুমিল্লা দক্ষিন জেলা প্রতিনিধিঃ
মনোহরগঞ্জে স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে সাদ্দাম হোসেন (২৮) নামে এক যুবক গলায় ফাঁস আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত রবিবার (১৪ মে) বিকালে উপজেলার ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়ন নরহরিপুর গ্রামের বড় বাড়ীতে নিজ ঘরে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক কুয়েত প্রবাসী সাদ্দাম হোসেন সে নরহরিপুর গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে।
খবর পেয়ে রবিবার পুলিশের সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মর্গে পাঠিয়েছে।
সোমবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্ত করা হয়েছে এবং থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিউল আলম নিশ্চিত করেন।
মৃতের পরিবারের দাবি, বেশ কয়েকদিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না সাদ্দামের। সেই অশান্তিতে সাদ্দাম আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, প্রায় ৮ বছর পূর্বে ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়ন নরহরিপুর গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে সাদ্দাম হোসেনে সাথে একই ইউনিয়ন মির্জাপুর আমিন বাড়ির সামছুল হকের মেয়ের নাছিমা বেগম সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। এই দম্পতির মধ্যে সবসময় ঝগড়া লেগে থাকত। সাদ্দামের বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে। দম্পতির সাত বছরের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে।
এক অভিযোগে গত ৮ মাস পূর্বে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ এলাকার লোকজন বসে শালিস দরবার মধ্যে সমস্যা সমাধান করেন। এলাকা বাসীর সূত্রে জানাযায়, গত রমজান ঈদের পর প্রবাস থেকে বাড়ীতে আসেন সাদ্দাম।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, প্রায় প্রতি দিনই নানা কারণে তারা দু’জন ঝগড়া করতেন। সেই ঝগড়া চরমে পৌঁছালে তার স্ত্রী নাছিমা বেগম দুই দিন আগে সন্তানকে নিয়ে মির্জাপুর বাপেরবড়িতে চলে যায়।
রবিবার দুপুরে নিজ ঘরে দরজা বন্ধ করে স্ত্রী নাজমাকে ভিডিও কল দেন সাদ্দাম। স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগান সাদ্দাম। এ সময় স্ত্রী নাজমা পরিবারের লোকজনকে ফোন করে তাকে উদ্ধার করার জন্য বলেন। বাড়ির স্বজনরা ঘরের বন্ধ দরজা ভেঙ্গে সাদ্দামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
