মনপুরা প্রতিনিধি।
ভোলার মনপুরায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কারিতাস বরিশাল অঞ্চল মুক্তি প্রকল্প -৩ এর উদ্যোগে জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২২ উপলক্ষে জনগণের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সচেতনতা মূলক দুর্যোগের প্রস্তুতি বিষয়ক ঘূর্ণিঝড় মহড়ার অনুষ্ঠিত হ’য়ে।
দূর্যোগের আগাম সতর্ক বার্তা, সবার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা এই স্লোগানে মনপুরায় পালিত হয়েছে জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন দিবস।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় সাকুচিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ৪নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি সিপিপি এর যৌথ আয়োজনে জনগনকে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসকরনে এই মহড়া আয়োজন করা হয়েছে।
দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব অলিউল্লাহ কাজল এর সভাপতিত্বে মহড়ায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মনপুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউজেডডিএমসি সভাপতি সেলিনা আক্তার চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার, মনপুরা থানা অফিসার ইনচার্জ সাইদ আহমেদ, কারিতাস বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক মি.ফ্রান্সিস বেপারী,প্রোগ্রাম ম্যানেজার সিআরএস নাসির উদ্দীন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ইলিয়াস মিয়া, মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন, ভাইসচেয়ারম্যান রাসেদ মোল্লা প্রেসক্লাব সভাপতি আলমগীর হোসেন প্রমূখ।
মাঠ মহড়া পরিচালনা করেন মনপুরা কারিতাস এর মনিটরিং অফিসার জহিরুল ইসলাম সিপিপি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম বাচ্চু মাষ্টার।
মহড়া শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মনপুরা একটি দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। এখানকার মানুষ ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। দুর্যোগ কবলিত মানুষকে সচেতন করে তুলতে কারিতাস কাজ করে আসছে, যা প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানান বক্তারা।
মহড়া দেখানো হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে একটি গ্রাম। সেখানে সারি সারি কুড়ে ঘর। কৃষক, জেলে, বাউল, ভিক্ষুক, কামার, পাগল,মাতাব্বর, মোড়ল বাড়ি ও চেয়ারম্যানরসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের বাস। পুকুর, মসজিদ, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাটির কিল্লা, টিউবওয়েল, দোকান, কাঁচা-পাকা লেট্রিন রয়েছে আদর্শ গ্রামটিতে। সবজির ক্ষেত আর বাহারি প্রজাতির গাছপালা দিয়ে সাজানো গ্রামের মেঠো পথ ও বাড়ির আঙিনা। দেখলেই মনে হবে একটি সাজানো-গোছানো গ্রাম।কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে ঝড় এসে এসব ঘর বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুরো গ্রামটি।
এভাবেই পাল্টে যায় গ্রামের চিত্র। দুর্যোগের আগে ও পরে কি ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়েন সে চিত্রই তুলে ধরা হলো ঘূর্ণিঝড় ‘মহড়া’র মাধ্যমে।