আরিফুল ইসলাম জয়, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতাঃ
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে নিষিদ্ধ বোরিং ড্রেজার মেশিন দিয়ে আবাদি জমি থেকে অবৈধভাবে ভু-গর্ভস্থ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সমতল ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে ভূমি ধসের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর ফলে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে কৃষকের ফসলি জমি। উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরডুবি গ্রামের বকনির পাড়ে ফসলি জমি থেকে বোরিং ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। একটি প্রভাবশালী মহলের যোগসাজসে ওই গ্রামের আব্দুল লতিফ, শাহজাহান আলী, আজাহার আলী ও মোস্তফা গং তাদের নিজস্ব ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন করছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন পার্শ্ববর্তী জমির মালিক ও এলাকাবাসী।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ড্রেজার মেশিন দিয়ে সমতল মাটির তলদেশ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে পাশের ফসলি জমি দেবে যাওয়াসহ আশ পাশের পরিবেশের ভয়াবহ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় জমির মালিক শফিকুল, শাহ আলম, ও বাহারুল জানান, যে জমি থেকে বালু তোলা হচ্ছে সেই জমিসহ আশপাশের সমস্ত জমি বালু তোলার কারণে জমির তলদেশ ফাঁকা হয়ে যাবে। এতে যে কোনো সময় বিশাল এলাকা নিয়ে জমি দেবে যেতে পারে। স্থানীয়রা আরো জানান, বালু তোলা বন্ধ করতে বললে তারা কোনো কথাই না শুনে ২৫ আগস্ট সকালে শাহজাহান আলী গং জমির মালিকদের উপর হামলা করে। এতে শওকত আলীর দুই ছেলে সাকিল ও সাফিতসহ ছানো বেগম নামের অপর এক মহিলা আহত হয়। তাই নিজেদের ফসলি জমি রক্ষার্থে নিরুপায় হয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে গত ২৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে বালু উত্তোলন কারি আব্দুল লতিফ জানান, নিজস্ব জমি থেকে বালু উত্তোলন করতেছি। অন্যের জমি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নাই।
ড্রেজার মেশিন মালিক হাফিজুর রহমান বলেন, আমার মেশিন আমি ভাড়া দিয়েছি। সমস্যা হলে জমির মালিক দেখবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার দেব শর্মা অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পাথরডুবী ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে বন্ধ না হলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।