রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বিশারকান্দি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে সাবেক ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে লিটন ও শফিউল নামের দুই চাচাতো ভাইকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৯ জানুয়ারী মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ১০ জানুয়ারী বুধবার সকালে এ ব্যপারে আহত শফিউল ইসলাম কবিরাজ বাদী হয়ে বানারীপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে সাবেক ইউপি সদস্য মো. আলাউদ্দিন, নিয়াজ মোর্শেদ কবিরাজ, জসিম উদ্দিন ও আলাউদ্দিনের ছেলে মোস্তাকিনকে নামীয় ও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,আহত লিটন, আহত ও অভিযোগের বাদী শফিউল ও আসামী নিয়াজ মোর্শেদ কবিরাজ আপন চাচাতো ভাই। তাদের পৈত্রিক সম্পত্তির মধ্যে উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের মলুহার মৌজায় ২ বিঘা ও ওই সম্পত্তির উত্তর পাশে বাইশারী-বিশারকান্দি আঞ্চলিক সড়কের উমারেরপাড় গ্রামে বিশারকান্দি মৌজায় আরও ২ বিঘা সম্পত্তি রযেছে। ওই সম্পত্তির যেখানে ফসল ভালো হতো সেই বিশারকান্দি মৌজার ২ বিঘা জমি নিয়াজ মোর্শেদরা দীর্ঘ ৩০ বছর পর্যন্ত ভোগ দখলে থেকে চাষাবাদ করে আসছেন। আর মলুহার মৌজার ২ বিঘা নিচু জমি শফিউল ও লিটনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। সেই থেকে এভাবেই তারা জমি ভোগ দখল করে আসছিলো। তবে শফিউলদের জমির পাশ থেকে সড়ক ও জনপদের আঞ্চলিক রাস্তা নির্মাণ হওয়ায় জমির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই ৩০ বছর আগের করা ভাগ ভাটোয়ারা না মেনে নিয়াজ মোর্শেদরা ৯ জানুয়ারী মঙ্গলবার শফিউল যেখানে দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন তার পাশে মাটি দিয়ে আইল বেঁধে বালু দিয়ে ভারাট শুরু করেন। খবর পেয়ে শফিউল ও লিটন সেখানে গিয়ে তাকে বালু ফেলতে নিষেধ করলে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় এক সময়ের বিএনপির চিহ্নিত ক্যাডার ও সাবেক ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন ও নিয়াজ মোর্শেদসহ আসামীরা শফিউল ও লিটনকে বেধরক পিটিয়ে আহত করেন। দোকানের ভাড়াটিয়াসহ স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এরমধ্যে লিটনের অবস্থা গুরুতর। থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয় এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন বিভিন্ন সময় ব্যবসায়ী লিটন ও শফিউলের কাছে চাঁদা দাবী করতো। কয়েকবার কিছু টাকা দেওয়া হলেও তাতে আলাউদ্দিন সন্তুষ্ট ছিলেন না। এবার সে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সেটা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ঘটনার দিন নিয়াজ মোর্শেদের হয়ে বালু আনলোড করতে এসে দুই পরিবারের বাকবিতন্ডার সুযোগে নেতৃত্ব দিয়ে তাদের বেদম মারধর করেন। আসামীরা গাডাকা দেওয়ায় এ ব্যপারে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার ওসি মাইনুল ইসলাম জানান,তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।