রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি॥ বানারীপাড়ায় বরিশাল-২ আসনে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী শেরে বাংলার দৌহিত্র একে ফাইয়াজুল হক রাজুর ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারী) রাতে নৌকার সমর্থক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ঈগল প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনায় বানারীপাড়া উপজেলা সমন্বয়কারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সলিয়াবাকপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক মিন্টুসহ ২৪ জনকে সুনির্দিষ্ট ও ৪৫/৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে বানারীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। একই রাতে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রাথী একে ফাইয়াজুল হক রাজুর মেয়ে তাহরিন হক বাদী হয়ে বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও বিশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শান্তসহ ১৯জনকে সুনির্দিষ্ট ও ৪০/৫০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ বুধবার (৩ জানুয়ারী ) দুপুরে বানারীপাড়া পৌর শহরের বন্দর বাজার থেকে ঈগল প্রতীকের সমর্থক সাইজউদ্দিন,মিরাজ ও মন্টু ওরফে সোহেলকে গ্রেফতার করেছে। এ প্রসঙ্গে,বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইনুল ইসলাম জানান,দুই পক্ষ থেকে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই মামলার বাকী আসামীদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে। প্রসঙ্গত,মঙ্গলবার (২ জানুয়ারী) দুপুরে ৭/৮ টি মটরসাইকেলে ২০-২২ জন নেতা-কর্মী উপজেলার বিশারকান্দি ইউনিয়নে গণসংযোগ শেষে বটতলা বাজারে পৌঁছলে হঠাৎ ৩০/৪০টি মটরসাইকেলে শতাধিক ঈগলের সমর্থক নেতা-কর্মী এসে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ১৪/১৫জন নৌকার সমর্থক নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হন। এদিকে বিশারকান্দিতে নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলার খবর পেয়ে উপজেলার পশ্চিম বাইশারী এলাকায় তাদের আটকানোর চেষ্টার সময় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সেখানেও কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। এসময় ১৪-১৫টি মটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও ৪টি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবুজর মো. ইজাজুল হকের নেতৃত্বে পুলিশ,র্যাব,বিজিবি ও আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। পরে ইউএনও ও ওসি সেখানে ছ্্ুটে যান। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বরিশাল জেলা প্রশাসক ও জেলা রির্টানিং অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম এবং পুলিশ সুপার ওহিদুল ইসলাম পিপিএম ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। এদিকে দুটি ঘটনায় আহতদের বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে নৌকার সমর্থক সলিয়াবাকপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামিমকে বুধবার দুপুরে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এদিকে বিশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শান্তকে মামলায় আসামী করার প্রতিবাদে ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিশারকান্দি ইউনিয়নের উমারেরপাড় দাখিল মাদরাসার সামনে বুধবার বিকালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।