রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি॥
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হয়ে দেশের প্রখ্যাত দুই সাংবাদিক সোহেল সানি ও ইলিয়াস খান লড়তে চান । বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি স্নেহধন্য
দেশের সর্বাধিক প্রচারিত বাংলাদেশ প্রতিদিনের সহকারি সম্পাদক বানারীপাড়া উপজেলার কৃতি সন্তান সোহেল সানি নৌকার কান্ডারী এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অতি স্নেহধন্য জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক উজিরপুর উপজেলার কৃতি সন্তান ইলিয়াস খান ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে নির্বাচনী যুদ্ধে অবর্তীণ হতে আগ্রহী। বিপরীতমুখী আদর্শ লালন করলেও সোহেল সানি ও ইলিয়াস খান ঘনিষ্ট বন্ধু। কাকতালীয় ভাবে তাদের নির্বাচনী এলাকাও এক। তারা দুইজন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেলে বরিশাল-২ আসনে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ ও আদর্শ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এ আসন থেকে ২০০৮ সালসহ বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলোতেও তারা নিজ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।
রাজনীতি সচেতন বরণ্যে এ দুই সাংবাদিক, সাংবাদিকতার মননশীল মহান পেশায় থেকে যেমন দেশ ও জাতির কল্যাণ করছেন তেমনি সংসদ সদস্য হিসেবে সাধারণ মানুষের সেবা ও দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে চান। প্রায় সাড়ে তিন দশক ধরে সাংবাদিকতার মহান পেশায় ব্রতী থেকে জনপ্রিয় ‘টকশো ব্যক্তিত্ব’ সোহেল সানি ও ইলিয়াস খান খ্যাতিমান সাংবাদিক ও সুসংগঠকের সুপরিচিতি অর্জন করেছেন। সাবেক এ দুই ছাত্রনেতা দুঃসময়ে দেশ ও দলের স্বার্থে সাংবাদিকতার কলম ছেড়ে নেতা-কর্মীর মতো রাজপথে নামতেও কার্পন্যতা করেন না।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ২৯ সদস্য বিশিষ্ট প্রথম উপ-কমিটির সদস্য বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিষ্ট সোহেল সানি স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী গণ আন্দোলনে ঢাকার রাজপথে ভূমিকা রাখতে গিয়ে পুলিশের রাবার বুলেটে আহত হন । তখন তিনি অবিভক্ত ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। সোহেল সানি পরবতীতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯৭ সালে গঠিত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রথম প্রচার উপ কমিটির সদস্য মনোনীত হন । ওই প্রচার উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা আ. জলিল। সোহেল সানি বর্তমানে আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য । এছাড়া তিনি বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক কার্য নির্বাহী সদস্য সোহেল সানি ওয়ান ইলেভেনের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে দলীয় সভানেত্রীকে মুক্ত করতে ওই সরকারের বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে মুখোশধারী সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হন। ওই হামলায় তার একটি পা ক্ষতিগ্রস্থ হলে প্রায় আড়াই বছর ঢাকার পঙ্গু ও সেন্ট্রাল হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা নিতে হয়। যুদ্ধাপরাধী,মৌলবাদী,সন্ত্রাসী ও গডফাদারদের বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে তাকে বার বার সন্ত্রাসী হামলার শিকার হতে হয়।
এদিকে সাংবাদিক ইলিয়াস খানও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চলমান আন্দোলনে ভূমিকা রাখছেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সহকারি সম্পাদক সোহেল সানি বলেন,দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশজুড়ে চলমান অভূতপূর্ব উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় সারথী হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনারবাংলা বির্নিমণে কাজ করতে নিজ এলাকায় নৌকার কান্ডারী হতে চাই।
এ বিষয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন,দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন চলছে। এর সুরহা হওয়ার পরে দলগত ভাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে চাই।