মিন্টু ইসলাম শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল (বিএনপি) একটি অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক সংগঠন। এ সংগঠনের কোটি কোটি নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ী রয়েছে দেশ- বিদেশে। দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৮০-৮১ সালে নিজেকে বিএনপি’র অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদলের সাথে নিজেকে জড়িয়েছিলেন বগুড়ার শেরপুরের জানে আলম খোকা। সে শেরপুর পৌরসভার স্বনামধন্য চেয়ারম্যান মরহুম গাজিউর রহমানের জৈষ্ঠ্য সন্তান। দলের প্রতি অগাধ ভালবাসা, ধৈর্য্য, নানা ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে নেয় বিএনপির রাজনীতির সাথে এবং ১৯৯১ সালের স্থানীয় বিএনপি’র তিনিই হন সভাপতি। তারপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি, তৎকালীন সময়ে এলাকায় চাউর ছিলো, শেরপুরের স্থানীয় বিএনপি মানে খোকা, খোকা মানেই বিএনপি’র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। অবশ্য সে সময় সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন শহীদুল ইসলাম বাবলু(বর্তমান সভাপতি)। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে দল সুসংগঠিত করতে তার সহযোগী হিসেবে অন্যন্য ভূমিকায় ছিলেন, কেএম মাহবুবার রহমান হারেজ, পিয়ার হোসেন পিয়ার, রফিকুল ইসলাম মিন্টু সহ বেশ কয়েকজন। আর জানে আলম খোকার এক ডাকেই হাজির হতো বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা। তারা একদিকে যেমন ঝাঁপিয়ে পড়তো দলের ক্লান্তিলগ্নে এবং তেমনি শক্ত সমর্থনে দলীয় কর্মকান্ডে উজ্জীবিত করে রাখতো দলীয় কার্যালয়। তবে এখনো এর ধারাবাহিকতায় ব্যতয় পরিলক্ষিত হচ্ছেনা দলীয় কর্মকান্ডে। সেক্ষেত্রে স্থানীয় বিএনপি’র সাবেক সভাপতি জানে আলম খোকা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিস্কৃত হলেও মনেপ্রাণে দলীয় আদর্শ ভূলতে পারেনি। জীবনদশায় বিএনপি’র আদর্শ আঁকড়ে ধরে রাখতে চায় সাবেক এই বিএনপি নেতা।
সদ্য পতিত ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ২০২১ সালে ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মেয়র পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হন জানে আলম খোকা। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ২০২০ সালের (৩০ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি মারফত জানে আলম খোকাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার হয়।
শুধু তাই নয় তৎকালীন সময়ে জানে আলম খোকাকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে ওই পৌর নির্বাচনে বিএনপি’র দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাবেক মেয়র স্বাধীন কুমার কুন্ডুকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
তবে স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা যায়, জানে আলম খোকা বিএনপি’র সমর্থন নিয়ে দু’বার শেরপুর পৌরসভার চেয়াররম্যান ছিলেন। বিএনপির দলীয় প্রার্থী হয়ে বগুড়া-৫ আসন থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। সে সময় বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টাসহ শেরপুর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। এর আগে ২০০১ সালে বিএনপি’র দলীয় প্রার্থী জিএম সিরাজের বিপরীতে বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ‘‘জগ প্রতিক’ নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশ গ্রহন করেছিলেন। ফলে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ওই সময়েও দলীয় সকল পদ হারিয়ে ছিলেন তিনি। এরপর স্থানীয় বিএনপিতে গ্রুপিং সৃষ্টি হয়, তৎকালীন সাংসদ জিএম সিরাজের পক্ষে অবস্থান নেয় দলীয় শীর্ষ পদধারী শফিকুল ইসলাম তোতা, শহিদুল ইসলাম বাবলু, রফিকুল ইসলাম মিন্টু, পিয়ার হোসেন পিয়ার, জাহিদুর রহমান টুলু এমনকি সাবেক মেয়র স্বাধীন কুমার কুন্ডু(বর্তমানে শহর বিএনপি’র সভাপতি) ও পৌর কাউন্সিলর ফিরোজ আহম্মেদ জুয়েল(বর্তমান শহর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক) সহ একাধিকরা। আর অন্যদিকে বহিস্কৃত নেতা খোকা গ্রুপের পক্ষে অবস্থান নেয়, শহর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি বিএইচএম কামরুজ্জামান রাফু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম পান্না, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, উপজেলা বিএনপি সাবেক সাংগঠনিক হাসানুল মারুফ শিমুল, বিএনপি নেতা আরিফুর রহমান মিলন, অশোক কুন্ডু, বর্তমান যুবদল নেতা তরিকুল ইসলাম সসম্রাট সহ একাধিকরা। উভয় গ্রুপের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেয় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। আর বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেরপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান কেএম মাহবুবার রহমান হারেজ সুক্ষভাবে উভয়পক্ষের সাথে লিয়াজো করেই রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ ফুরফুরে থেকেছেন এমন কথার প্রচলন ছিলো স্থানীয় পর্যায়ে। তবে স্থানীয়ভাবে দলের এই ত্যাগী নেতা জানে আলম খোকাকে দলে ফিরাতে তার সমর্থিত নেতারা জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। তাছাড়া বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে দলীয় সিদ্ধান্তে বহিস্কৃতদের দলে ফেরাতে সাধারণ ক্ষমা পাওয়ায় জানে আলম খোকা পুনরায় দলীয় সদস্য পদ ফিরে পান। সে থেকেই আবারো দলীয় কর্মকান্ডে নেতাকর্মীদের নিয়ে মেতে উঠেছিল। কিন্তু বিধিবাম, ২০২১ সালে অনুষ্ঠেয় পৌর নির্বাচনে জানে আলম খোকা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মেয়র পদে অধিষ্ঠিত হলেও আবারো দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিএনপি থেকে বস্কিকার হয়।
জানে আলম খোকা দলীয়ভাবে বহিস্কার হলেও কি হবে, দুঃখ নেই, নিজেকে শহীদ জিয়ার একজন ত্যাগী সৈনিক প্রমাণ করতে তার সমর্থিত নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে বিএনপি’র বিভিন্ন কর্মকান্ডে নিয়োজিত রেখে চলেছে। আর তাকে পুনরায় দলে ফিরিয়ে এনে স্থানীয়ভাবে দলীয় বিভেদ লাঘব করতেই শহর বিএনপি’র সভাপতি স্বাধীন কুমার কুন্ডু, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদ জুয়েলসহ শহর কমিটি আলাদা দলীয় কার্যালয় থেকে দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। পাশাপাশি কৌশলে জেলা ও কেন্দ্রীয় শীর্ষনেতাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে।
এতদিন শহর বিএনপি’র কমিটির সাথে নিজেকে (জানে আলম খোকা) আওয়ামীলীগ সরকার পতনে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত রেখেছে। সর্বশেষ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১ সেপ্টেম্বর ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে বিএনপি। এতে বগুড়ার শেরপুরে স্থানীয় বিএনপির পক্ষ থেকে দু’গ্রুপে বিভক্ত হয়ে শহরের খেজুরতলা দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা বিএনপি ও স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডস্থ দলীয় কার্যালয়ে পৌর বিএনপির উদ্যোগে পৃথক কর্মসূচি পালন করে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উপজেলা বিএনপির ব্যানারে সাবেক এমপি জিএম সিরাজের অনুসারীরা জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। অন্যদিকে শহর বিএনপি’র ব্যানারে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি (বহিস্কৃত নেতা) জানে আলম খোকার অনুসারীরা পৌর বিএনপির ব্যানারে অনুরুপ কর্মসূচি পালন করেন। পরে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে বহিস্কৃত নেতা জানে আলম খোকা বলেন, ‘আমি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দলে অংশগ্রহন করি। সেই থেকে স্থানীয়ভাবে তৃণমূল পর্যায়ে দলকে গুছিয়ে শক্তিশালী হিসেবে পরিণত করার সহায়ক কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি।’ তবে বর্তমানে বহিস্কৃত অবস্থায় দলের বিভিন্ন কর্মসুচীতে অংশগ্রহন ও বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার নিয়ে এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, দলে ফিরতে হাইকমান্ডের কাছে আবেদন জানিয়েছি, আশা করি ক্ষমা পাবো এবং দলের একজন সক্রিয় সৈনিক হিসেবে মৃত্যুবরণ করতে চাই” এমনটাই দাবী জানিয়েছে এই ত্যাগী নেতা।
তবে এতদিন বহিস্কৃত নেতা জানে আলম খোকাকে দলীয় কর্মকান্ডে অংশগ্রহন নিয়ে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুপ মন্তব্য ও পদক্ষেপ দৃশ্যমান হয়নি। সেক্ষেত্রে সম্প্রাতিক সময়ে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশিত বক্তব্যে‘ দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী নেতাদের সাথে আতাত ও যোগাযোগ’ সাংগঠনিক ব্যবস্থার পরিপন্থি হিসেবে গণ্য হওয়ায় এখন বেশ জোরেসোড়ে আলোচনায় এসেছে খোকাকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার বিষয়টি। এর ফলশ্রæতিতে ‘দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বহিস্কৃত ব্যক্তিকে নিয়ে দলীয় কর্মসূচী পালন’ সংক্রান্ত বিষয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে শেরপুর শহর বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। জেলা বিএনপি’র দপ্তর সম্পাদক এ্যাড. কেএম হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করেন ‘আপনাদেরকে(সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) বারবার মৌখিকভাবে নিষেধ করা সত্বেও গত কিছু দিন যাবত লক্ষ্য করা যাচ্ছে আপনারা বিএনপি’র শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কর্তৃক বহিস্কৃত নেতা জানে আলম খোকাকে নিয়ে দলীয় কর্মসূচী পালন করছেন যা সুস্পষ্ট দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও ধৃষ্টতাপূর্ণ কাজ’ এমতাবস্থায় কেন আপনাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করা হবেনা এ মর্মে ৭দিনের মধ্যে জবাবদিহির জন্য নির্দেশনা দেয়া হয় এবং বিষয়টি সদয় অবগতির জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিবের অনুকুলে অনুলিপি দেয়া হয় বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে।
জেলা বিএনপি’র শোকজ নোটিশ প্রাপ্তিতা স্বীকার করে শেরপুর শহর বিএনপি’র সভাপতি স্বাধীন কুমার কুন্ডু বলেন, বহিস্কৃত নেতাকে নিয়ে দলীয় বিভিন্ন কর্মসুচী করার অভিযোগে জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ৭(সাত) দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে জেলা নেতাদের সাথে কথা হয়। এবং আমরা জবাব দাখিল করেছি। এখন সিদ্ধান্ত দলীয় হাইকমান্ডের উপর নির্ভর।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি শহীদুল ইসলাম বাবলু বলেন, আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শে গড়া সৈনিক। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দলে শুদ্ধিকরণ চলছে। যারা ‘দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করবে, তারা অবশ্যই শাস্তি পাবে’। তাছাড়া বহিস্কৃতদের সাথে আতাত বা সম্পর্ক এমনকি তাকে নিয়ে শহর বিএনপি দলীয় কর্মসূচী পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে কি সিদ্ধান্ত নেবেন হাইকমান্ড তা আমার জানা নেই।
লিখিত জবাব প্রাপ্তিতা স্বীকার করে বগুড়া জেলা বিএনপি’র সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেন, বহিস্কৃত লোক নিয়ে দলীয় কর্মসুচী করায় শেরপুর পৌর বিএনপিকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়। তবে তারা নির্ধারিত তারিখেই মধ্যে লিখিত জবাব দিয়ে গেছেন। এটি কেন্দ্রীয় দলীয় হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
অন্যদিকে জানে আলম খোকার বিএনপি’র আবারো ঘরানায় স্থান পাওয়া নিয়ে নানা শঙ্কায় রয়েছে শহর-উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের তার সমর্থিত নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভাকাঙ্খীরা। যদি স্থান না পায় সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কি হবে। আবার যদি দলে স্থান পায় সেক্ষেত্রে গ্রুপিং রাজনীতির প্রতিপক্ষদের মাঝে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া কেমন হবে। তাছাড়া পারবে কি অতিতের গ্রুপিং, দ্বন্দ্ব, রাজনৈতিক হিংসা-প্রতিহিংসার পথ ভূলে এককাতারে মিলেমিশে এলাকার জনগনের সেবায় নিয়োজিত করতে। আর এর ব্যতয় ঘটলে জানে আলম খোকা সমর্থিতদের ভবিষ্যৎ অনেকটাই রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার সম্মুখীন ও ধোঁয়াশায় নিমজ্জিত হবে বলে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মন্তব্য করছেন। স্থানীয়রা বলছেন যদি খোকাকে দলে না নেয়া হয় তাহলে শেরপুরের অস্তিত্ব সংকটে পড়বে বিএনপি।