মিন্টু ইসলাম শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি:
আর ২ দিন পরেই অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপের নির্বাচন। এই শেষ ধাপে রয়েছে বগুড়ার জেলার শেরপুর উপজেলা। যার ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল ৫ জুন। অথচ মহিলা ভোটাররা জানেন না কাকে ভোট দিতে হবে। তথ্য নিয়ে জানাগেছে এই উপজেলায় পুরুষের চেয়ে মহিলা ভোটারই বেশি। তারা বলছেন সড়কে শুধু ভোটের মাইকিং শুনি অথচ কেউ বলছেনা কাকে ভোট দিতে হবে।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মাইকিংয়ের ছড়াছড়ি। একটার শব্দে আরেকটা শোনাই কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। অথচ ৯০ ভাগ মহিলারা জানেন না যে কাকে কাকে ভোট দিতে হবে। চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতান মাহমুদের আনারস প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্প দেখা গেলেও আলহাজ¦ শাহ জামাল সিরাজীর ক্যাম্প অনেক কম রয়েছে। কিন্তু প্রবীন ভোটাররা আবার শাহজামাল সিরাজীর কথা বেশী বলছে। আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ হান্নানের জোড়া ফুল প্রতীকের মাইকিং শোনা গেলেও নেই কোন নির্বাচনী ক্যাম্প।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, শেরপুর উপজেলায় মোট ২ লাখ ৮৮ হাজার ২৭২ জন ভোটার রয়েছেন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৪১ হাজার ১৩৪ জন আর মহিলা ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৪৭ হাজার ১৩৮ জন। সে তুলনায় পুরুষের চেয়ে মহিলা ভোটার বেশি। অথচ মহিলারাই জানেন না যে কার কোন প্রতীক, আর কাকে কাকে ভোট দিতে হবে। শুধু তাই নয় অনেক পুরুষ ভোটারো জানেন না যে কার কোন প্রতীক আর কাকে কাকে ভোট দিতে হবে। এখন প্রশ্ন হলো তাহলে কি তাদের কাছে কোন প্রার্থী বা প্রার্থীর প্রতিনিধিরা যাননি?
খানপুর ইউনিয়নের শালফা, ভিটারচড়া, পান্তাপাড়া, বোয়ালকান্দি, নলবাড়িয়া, চকখাগা, তালপুকুরিয়া, খামারকান্দি ইউনিয়নের ভাতারিয়া, নলডেঙ্গি, পারভবানীপুর, গাড়িদহ ইউনিয়নের জয়নগর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বেশিরভাগ মহিলারা জানান, তাদের কাছে কেউ এখনো ভোট চাইতে যায়নি। এমনকি তাদের স্বামীরাও তাদের কিছু বলেনি। শুধু সড়ক দিয়ে মাইকিং করতে শুনেছেন তারা। তাই তারা কাকে ভোট দিবেন তা এখনও ঠিক করেনি।
অপরদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলছেন, তারা প্রত্যেক গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকলের কাছে ভোট প্রার্থনা করেছেন, ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।