নড়াইল সংবাদদাতাঃ
নড়াইলের দিঘলিয়ায় মহানবী (সাঃ) নিয়ে কটুক্তি করায় বাড়ি-মন্দির ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রোববার বিকালে লোহাগড়া থানার এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার এসআই মাকফুরুল ইসলাম জানান, গত শনিবার গভীর রাতে অভিযুক্ত আকাশ সাহাকে (২০) খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নড়াইলের লোহাগড়া আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: মোরশেদুল আলম এর আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত শুনানী শেষে আকাশকে ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
অপরদিকে লোহাগড়া থানার এসআই মিজানুর রহমান জানান, হিন্দু বাড়ি-মন্দির ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার দুপুরে দিঘলিয়া বাজার এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, দিঘলিয়া গ্রামের মৃত ইসাহাক মৃধার ছেলে ব্যবসায়ী রাসেল মৃধা (৩৮) ও চরমাউলী গ্রামের কবির গাজী (৩২)।
রোববার বিকালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল দিঘলিয়ার সাহাপাড়া পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ গোবিন্দ সাহাকে নগদ ৫হাজার টাকা প্রদান করেন।
এ সময় তার সাথে ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্ময়কারী জোনায়েদ সাকী, ভাষানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বীরমুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াক আজিজ উলফাতসহ প্রমুখ।
পরিদর্শন শেষে জাফরুল্লাহ চৌধুরী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, এই দেশ প্রত্যেকের। এই ধরনের হামলা হওয়া উচিৎ নয়। বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটায় সংখ্যালঘুরা উদ্বিগ্ন ও আতংকগ্রস্থ। এ দেশে উগ্রতার জমিন তৈরী করা হচ্ছে। ইসলাম রক্ষার নামে উগ্র সাম্প্রদায়িক হামলা-মামলা বন্ধে সরকার আরোও উদ্যোগী হবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।