পৃথিবীর সবচেয়ে বিশুদ্ধ বাতাসের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

আববাওয়া আবহাওয়া পরিবেশ সৌরজগত স্বাস্থ্য
শেয়ার করুন...

অনলাইন ডেস্কঃ
পৃথিবীতে এমন একটি স্থান রয়েছে যেখানে এখন পর্যন্ত দুষণের কোনো প্রভাব পড়েনি। এমনকী মানুষের কর্মকাণ্ডও সেখানে কোনো প্রভাব ফেলেনি। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো সেখানে রয়েছে এই গ্রহের সবচেয়ে বিশুদ্ধ বাতাস।
ভাবছেন হয়তো, এমন পরিশুদ্ধ বাতাস আবার এই পৃথিবীতে আছে নাকি। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখনও এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে মানুষের কর্মকাণ্ডের প্রভাব পড়েনি। কিছু অঞ্চল এমন রয়েছে যেখানকার বাতাস মানুষ এখনও বিষাক্ত করে তুলতে পারেনি। খবর জিনিউজের।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন তারা বিশ্বের সবচেয়ে বিশুদ্ধ বাতাসের খোঁজ পেয়েছেন। আটলান্টিক মহাসাগরে এই বিশুদ্ধ বায়ুস্তরের অবস্থান বলেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেখানকার বাতাস এখনও মানুষের দ্বারা সৃষ্ট দৃষণে নষ্ট হয়নি।
আটলান্টিক মহাসাগরের বায়োএরোসল কম্পোজিশন নিয়ে গবেষণা করেছেন একদল বিজ্ঞানী। প্রসেডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, ওই অঞ্চলে পৃথিবীর সবচেয়ে বিশুদ্ধ বাতাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। মানুষের জন্যই জলবায়ুর দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। এমনকি বিশ্বের বহু অঞ্চলের পরিবর্তনেও মানুষের কর্মকাণ্ড প্রভাব বিস্তার করছে। সারা বিশ্বে বাড়ছে উষ্ণতা। ভবিষ্যতে এই উষ্ণায়ন বড় সমস্যার সৃষ্টি করবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এমন পরিস্থিতিতে বিশুদ্ধ বাতাসের খোঁজ পাওয়াটা সুখবর বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
তারা মনে করছেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও বেশ কয়েকটি জায়গা রয়েছে যেখানে গেলে বিশুদ্ধ বাতাসের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া থেকে অ্যান্টার্কটিকার একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চল পর্যন্ত পানিপথে ভ্রমণ করে সামুদ্রিক স্তর থেকে বাতাসের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। যে বায়ুমণ্ডলে পরিশুদ্ধে বাতাসের সন্ধান পেয়েছেন তারা সেই অংশটির সঙ্গে সমুদ্রের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। ওই অঞ্চলের বাতাসে কোনো ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক কণা নেই।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অন্যান্য অঞ্চলের সমুদ্রের বাতাসের থেকে আটলান্টিকের ওই অঞ্চলের আবহাওয়া একেবারেই ভিন্ন। কলকারখানা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া, মানুষের সৃষ্ট বর্জ্য থেকে উৎপন্ন কোনো কিছুর প্রভাব এখনো পর্যন্ত সেখানকার বাতাসে প্রভাব ফেলেনি।


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.