জহুরুল ইসলাম হালিম, রাজবাড়ী
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৭নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে জেলে জালে ২৫ কেজি ওজনের ১টি বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে।
মাছটি দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে আনোয়ার খাঁর মাছের আড়তে আনলে সেখানে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে স্থানীয় চাঁদনী আরিফা মৎস আড়তের স্বত্বাধিকারী মো. চান্দু মোল্লা ১ হাজার ৩শ টাকা কেজি দরে মাছটি ৩২ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নেন।
স্থানীয় মৎস্য ব্যাবসায়ীদের থেকে জানাযায়, বেশ কিছুদিন ধরে পদ্মা নদীতে দেশীয় প্রজাতির বড় কোন মাছ পাওয়া যাচ্ছিল না। মাছ না পাওয়ায় জেলেদের পাশাপাশি মৎস্য ব্যাবসায়ীরাও হতাশ ছিলেন। নদীতে পানি বাড়ায় অনেক দিন পর সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরি ঘাটের অদূরে পদ্মা নদীর মোহনায় সোনাই হালদার ও তার দল জাল ফেললে এই ২৫ কেজি ওজনের বাগাড় মাছটি ধরা পরে।
দৌলতদিয়া ৫নম্বর ফেরি ঘাট এলাকার মাছ ব্যাবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা বলেন, সকাল ৯ টার দিকে আনোয়ার খাঁর আড়ত ঘর থেকে উন্মুক্ত নিলামে মাছটি ১ হাজার ৩শ টাকা কেজি দরে মোট ৩২ হাজার টাকায় কিনে নেই। মাছটি কেনার পর বিক্রির জন্য ফেরি ঘাটের পন্টুনের সাথে রশি দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে। উৎসুক জনতা মাছটি দেখতে ফেরি ঘাটে ভিড় করছেন।
মো. চান্দু মোল্লা আরো বলেন, অনেক দিন পর পদ্মা নদীতে এত বড় বাগাড় মাছ পাওয়া গেছে। এতে জেলেরা যেমন খুশি হয়েছেন, আবার আমরাও খুশি হয়েছি। মাছটি বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হচ্ছে। কেজি প্রতি ১থেকে ২শ টাকা লাভ পেলে মাছটি বিক্রি করবেন বলে তিনি জানান।
গোয়ালন্দ উপজেলার সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরিফ বলেন, বছরে নির্দিষ্ট সময়ে ইলিশ মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কারনে এই মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পায়। এছাড়াও এখন নদীতে পানি বাড়ার কারনে এসব বড় বড় মাছ নদীতে পাওয়া যাবে। নদীতে পানি বেশি থাকলে পাঙাশ, রুই, কাতলা, বোয়াল, বাগাড়সহ দেশীয় বড় প্রজাতির মাছ আরও ধরা পড়বে বলে তিনি জানান। আগামী প্রজন্মের জন্য এই মাছের স্থায়ী অভয়াশ্রম করা গেলে এমন মাছের বংশবৃদ্ধিসহ আরো বেশি পাওয়া যেত বলে জানান এই মৎস্য কর্মকর্তা।