পদ্মা সেতুর ১৭ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌ রুটে চলাচলরত ফেরি শাহ জালালের মাস্টার আবদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। এছাড়া এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে চলাচলরত ফেরি শাহজালাল সঠিকভাবে পরিচালনায় ব্যর্থ হওয়ায় ফেরির ইনচার্জ ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার আবদুর রহমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে পদ্মা সেতুর ১৭ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রো রো ফেরি শাহ জালাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় ফেরির অন্তত ২০ যাত্রী আহত হয়েছেন।
ওই ফেরিতে থাকা যাত্রীরা জানান, মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আসার পথে মূল পদ্মায় প্রবেশ করার পর ফেরির মাস্টার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এ সময় ফেরিটির পদ্মাসেতুর ১৭ নম্বর পিলারের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে।
কয়েকজন যাত্রী জানান, ঘটনার আকস্মিকতায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকের হাত, পা ও বুকে আঘাত লেগেছে। কেউ কেউ রক্তাক্ত হন।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহম্মেদ জানান, সকালে ফেরি শাহ জালাল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পদ্মা সেতুর ১৭ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খায়। তবে চালক দ্রুত ফেরিটি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। এতে ফেরিটি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া কয়েকজন যাত্রী সামান্য আহত হয়েছেন। ফেরিটি শিমুলিয়া ঘাটে নোঙরের পর আহত হওয়া যাত্রীরা নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যান। তবে পায়ে ব্যথা পাওয়ায় এক যাত্রীকে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখে গেছে।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, পদ্মা সেতুর পিলারের সঙ্গে রো রো ফেরির ধাক্কা লেগেছে। তবে এতে সেতুর পিলারের কোনো ক্ষতি হয়নি।
তিনি আরও জানান, ১০০ টন