নারায়ণগঞ্জে কারখানায় আগুনে নিহত ৪৯ জনের লাশ নিয়ে আসা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে
নারায়ণগঞ্জে কারখানায় আগুনে নিহত ৪৯ জনের লাশ নিয়ে আসা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে। ছবি: তানভীর আহম্মেদ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৯ মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরির সহকারী ডিএনএ অ্যানালিস্ট আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে জানান, যেসব মৃতদেহ আছে, তাঁদের স্বজনদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। মৃতদেহের সঙ্গে ডিএনএ বিশ্লেষণ করে পরিচয় শনাক্ত করা হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিআইডির একজন সদস্য জানিয়েছেন, ডিএনএ বিশ্লেষণ করে পরিচয় নিশ্চিত করতে ১৫ থেকে ৬০ দিন সময় লাগতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায় হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। আজ শুক্রবার দুপুরের পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। গতকাল রাতে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে তিনজন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। এ ছাড়া আজ ফায়ার সার্ভিস এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের লাশ উদ্ধারের খবর জানিয়েছে। লাশগুলো এতটাই পুড়ে গেছে, সেগুলো দেখে চেনা বা শনাক্ত করার উপায় নেই।
কারখানার ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কাজী রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের ওই ভবনের কারখানায় ২০০ শ্রমিক কাজ করতেন। ওই ভবন সেন্ট্রাল গোডাউন হিসেবে তাঁরা ব্যবহার করতেন। ওই ভবনে বিভিন্ন জুসের ফ্লেভার, রোল, ফয়েল প্যাকেটসহ বিভিন্ন মালামাল ছিল। আগুন লাগার পর কত শ্রমিক আটকা পড়েছেন, তা তাঁরা জানেন না।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) দেবাশীষ বর্ধন জানান, ছয়তলা ভবনে প্রচুর প্লাস্টিক, কেমিক্যাল, কার্টনসহ প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন ভয়াবহ হয়ে ওঠে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট ২০ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রথম আলো