আব্দুল মজিদ মল্লিক সংবাদদাতা নওগাঁঃ নওগাঁর মান্দায় শিক্ষক দম্পতিকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ভালাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বানডুবি এলাকায় মারধরের এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার শিক্ষক দম্পতিরা হলেন, আবুল কাসেম শাহিন (৩০) ও তাঁর স্ত্রী লিপি পারভীন (২৫)। তাঁরা ভালাইন ইউনিয়নের বানডুবি গ্রামের বাসিন্দা। আহত শিক্ষক দম্পতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে বুধবার সকালে বানডুবি বাজারে মদনচক গ্রামের মিরাজ উদ্দিন ম-লকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা। এ সময় সেখানে উপস্থিত আলমগীর হোসেন নামে এক যুবক এর প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা প্রতিবাদী যুবক আলমগীর হোসেনকে মারধর করেন।
এ ঘটনায় বাজারের লোকজন একজোট হয়ে চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাকে গণপিটুনি দেন। এতে চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা ও স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল চন্দ্র প্রামাণিক আহত হন।
পরবর্তীতে চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা মোবাইলফোনে গ্রামপুলিশ, ইউপি সদস্য ও তাঁর লোকজনকে ডেকে নেন। এ সময় কর্মস্থলে যাওয়ার পথে মিরাজ উদ্দিনের ছেলে বানডুবি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল কাসেম শাহিন ও পুত্রবধূ লিপি পারভীনের পথরোধ করে মারধর করেন চেয়ারম্যানসহ তাঁর লোকজন। এ প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, ব্যক্তিগত কাজে বানডুবি বাজারে গেলে মিরাজ উদ্দিন ও তাঁদের লোকজন আমাকে মারধর করেন। পরে আমিও পাল্টা জবাব দিয়েছি।
মান্দা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী মাসুদ বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা মোবাইলফোনে বিষয়টি আমাকে অবহিত করেন। এ বিষয়ে উভয়কে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।