নওগাঁ সংবাদদাতাঃ
কোরবানি উপলক্ষে নওগাঁয় মান্দার পশুর হাটে বেচাকেনা জমে উঠেছে। হাটে গরু উঠছে প্রচুর, দামও রয়েছে সহনীয় পর্যায়ে। ব্যাপারী, ক্রেতা ও ইজাদারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এখন পর্যন্ত গরুর দাম তুলনামূলক কম ও সহনীয়। তবে খামারি ও গৃহস্থরা কেউ কোন লোকসানের আশঙ্কা করছেন না। তারা বলছেন, হাটে প্রচুর গরু আমদানি হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন কোরবানি দেয়ার জন্য গরু কিনছেন। এছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বড় বড় বাজারের ব্যাপারী ও গরু ব্যবসায়ীরাও আসছেন অনেক। ফলে বেচাবিক্রি গত বছরগুলোর তুলনায় এবার অনেকটাই বেশি হওয়ায় প্রত্যাশা অনুযায়ী গরু বিক্রি করতে পারছেন। শেষ পর্যন্ত এ অবস্থা থাকলে গরুর মালিক ও ব্যাপারী দুজনেই অনেক লাভের দেখা পাবেন বলে জানান তারা।
মান্দার আশপাশ মিলে ছোট-বড় বেশ কিছু হাট রয়েছে। এর মধ্যে মান্দা উপজেলার চৌবাড়িয়া হাট, নাচোলের সোনাইচণ্ডী হাট, সতিহাট, মহাদেবপুরের মাতাজী হাট, পোরশার মর্শিদপুর, পত্নীতলার নতুনহাট ও সাপাহারের দীঘিরহাট পশু কেনাবেচার সবচেয়ে বড় হাট। গত এক সপ্তাহ থেকে ছাতড়া, চৌবাড়িয়া, সোনাইচণ্ডী ও মর্শিদপুর পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটগুলোতে গরুর আমদানি প্রচুর। জমে উঠেছে বেচাকেনা।
শুক্রবার বিকাল ১২টার দিকে নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া বাজারে ঢুকতেই দেখা যায় ভটভটি, নছিমন ও ট্রাকে করে গরু আসছে। এ হাটে ৪০ হাজার থেকে শুরু করে ৫ লাখ টাকা মূল্যের গরু বিক্রি হচ্ছে। হাটের নির্দিষ্ট সীমানা ছাড়িয়ে সড়ক ও পাশের কৃষি জমির মাঠ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে এ হাট।
শুক্রবার চৌবাড়িয়া হাটে রাজশাহীর উপজেলা চককানু গ্রামের ব্যাপারীরা নিজের পালন করা এবং গ্রাম থেকে কেনা ৬টি গরু নিয়ে এসেছিলেন আফছার। তিনি বলেন, বড় আকৃতির ৬টি গরু এনেছেন। প্রতিটি গরুর দাম আশা করেছিলাম ৯০ থেকে ১ লাখ টাকা করে হবে।
চৌবাড়িয়া পশুর হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি মোঃ সুজন আলী বলেন, ‘গতবারের তুলনায় এবার হাটে গরুর আমদানি বেশি। হাটে এবার ভারতীয় গরু নেই বললেই চলে, তারপরও প্রচুর গরু। দামও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় পক্ষই দাম নিয়ে সন্তুষ্ট। হাটে ঢাকা-চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা গরু কিনছেন। এতে করে বেচাবিক্রি অনেকটাই বেড়েছে। সকাল ৮টা থেকে ছাগলের হাট। সেখানে গিয়ে দেখা যায় জমজমাট বেচাকেনা চলছে।