দেশে করোনা শনাক্তের হার ২ শতাংশের নিচে নেমেছে। জনস্বাস্থ্যবিদরা এই হারকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন। তারা বলছেন, সরকারের তথ্যে বোঝা যাচ্ছে, দেশে করোনা সংক্রমণ এখন নিয়ন্ত্রণে। একইসঙ্গে তারা তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলেও মনে করছেন। একইসঙ্গে দেশের মোট জনসংখ্যার অন্তত ৮০ শতাংশকে যত দ্রুত সম্ভব টিকাদানের আওতায় নিয়ে আসতে জোর দিয়েছেন তারা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। শনাক্তের হারও নিম্নগামী। এটা আমাদের জন্য স্বস্তির বার্তা বয়ে নিয়ে এসেছে। তবে, এ-ও মনে রাখতে হবে—আমাদের মাথার ওপর তৃতীয় একটি ঢেউয়ের শঙ্কা বিদ্যমান।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে করোনা সংক্রমণ আবার বাড়ছে। অক্টোবরের শেষ নাগাদ ভারতে করোনা সংক্রমণ আবার বাড়তে পারে—এমন একটি পূর্বাভাস রয়েছে। আমাদের প্রধান কাজ হওয়া উচিত, করোনা সংক্রমণ যেন আরও না বাড়ে, সেজন্য স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা। একইসঙ্গে অন্তত ৮০ ভাগ মানুষকে যত দ্রুত সম্ভব, টিকাদানের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’
সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘সরকারের দেওয়া তথ্যে বোঝা যাচ্ছে, দেশে করোনা সংক্রমণ কমছে। তবে সতর্কতায় শৈথিল্য দেখানো যাবে না।’ কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন—‘সামনের বছরের শুরুতে তৃতীয় আরেকটি ঢেউয়ের শঙ্কা আছে।’
ডেন্টাল কলেজের সহকারী পরিচালক ডা. তারিক উল হাসান ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘সংক্রমণ কমানো সরকারের একটি বড় সাফল্য। প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সময়োপযোগী উদ্যোগেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বিশ্বের অনেক দেশ যখন টিকাই পায়নি, তখন আমরা পেয়েছি। যে টিকাই হোক, পেয়েছি। পাশাপাশি টিকাদানও চলছে।’ সতর্ক থাকলে করোনা সংক্রমণ একেবারে শূন্যে নামিয়ে আনা অসম্ভব নয় বলেও তিনি মনে করেন।
উল্লেখ্য, শনিবার (১৬ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের বুলেটিন বলছে, পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫ হাজার ২৫১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আগের নমুনাসহ এদিন পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৮০টি নমুনা। যেখানে শনাক্তের হার ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এই পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এতে আর বলা হয়েছে, একদিনে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৪৪২ জন। এই নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৩৩ জন। এছাড়া এই সময়ে মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ২৯৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে মাত্র ৬ জনের। সূত্রঃ ইত্তেফাক