আব্দুর রাজ্জাক বাপ্পী, ঠাকুরগাঁও থেকেঃ
অবৈধভাবে ধান ও চাল মজুদ করার দায়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২টি অটোরাইস মিলের স্বত্বাধিকারীকে ও দুই ব্যবসায়ীকে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগন।
বৃহস্পতিবার ( ২ জুন) বিকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তাসনীম জাহান।
এ সময় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ছিট চিলারং এর মাছরাঙ্গা অটোরাইস মিলের স্বত্বাধিকারীকে ১ লাখ টাকা ও আকচা’র এস,এ অটোরাইস মিলের স্বত্বাধিকারীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তাসনীম জাহান জানান, ‘মাছরাঙ্গা অটোরাইস মিলের স্বত্বাধিকারীকে মিলের লাইসেন্সের শর্ত পরিপূরণ না করায় জরিমানা করা হয় এবং এস,এ অটোরাইস অবৈধভাবে আমন ধান ৫ মাস ৩ দিন ধরে মজুদ করে রাখার অপরাধের জন্য জরিমানা করা হয়।, অন্যদিকে বুধবার ( ১ জুন) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুল ইসলাম। এ সময় শাহজাহান নামে এক ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা ও খায়রুল ইসলাম নামে আরেক জন ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দুই দিনে ২টি অটোরাইস মিলের স্বত্বাধিকারীকে ও ২ জন ব্যবসায়ীকে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘আইনত সাধারণ খুচরা ব্যবসায়ীরা ধান ও চাল সর্বোচ্চ ১৫ মেট্রিকটন এবং গম ১০ মেট্রিকটন মজুদ করে সর্বোচ্চ ১৫ দিন সংরক্ষণ করতে পারবে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা ধান ও চাল সর্বোচ্চ ৩০০ মেট্রিকটন এবং গম ২০০ মেট্রিকটন মজুদ করে সর্বোচ্চ ৩০ দিন সংরক্ষণ করতে পারবে। এছাড়াও খাদ্য অধিদপ্তর থেকে প্রদানকৃত নিয়ম অনুযায়ী রাইসমিল গুলো ১৫ দিনের ধান ছাটাই ক্ষমতার ৩ গুন মজুদ করে সর্বোচ্চ ৩০ দিন এবং চাল ছাটাই ক্ষমতার দুই গুন মজুদ করে সর্বোচ্চ ১৫ দিন সংরক্ষণ করতে পারবেন।, অবৈধ মজুদকারীদের বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান।