ঝালকাঠি সংবাদদাতাঃ
ঝালকাঠির নলছিটিতে পঙ্কজ চন্দ্র শীল নামে একনরসুন্দরকে হত্যার ঘটনায় পুলিশ তাঁর স্ত্রী সোনালী শীলসহ তিনজনকেগ্রেপ্তার করেছে। রবিবার গভীর রাতে উপজেলার বারইকরণ গ্রাম থেকে তাদেরগ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে তারা হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে। আজ সোমবার গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে ১৬৪ ধারায়জবানবন্দি দিবেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, গত ১২ জুন রাতে জগন্নাথপুর গ্রামের পোনাবালিয়া বাজারের পাশের খাল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নরসুন্দর পঙ্কজ চন্দ্র শীলের(৩২) ভাসমান লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরের দিন পঙ্কজের বাবানরেন্দ্রনাথ শীল বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে নলছিটি থানায় মামলা দায়েরকরেন। পুলিশের ধারণা তাকে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে দেওয়া হয়। এরই সূত্রধরে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। রবিবার রাতে পুলিশ পঙ্কজ শীলের স্ত্রী সোনালীকে (৩২)বারইকরণ গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সোনালীর চাচাতো দুই ভাই বিশ্বজিত চন্দ্র শীল(২২) ও শুভ শীলকে (২০) গ্রেপ্তার করে। তাদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে হত্যাকান্ডের ঘটনা স্বীকার করে। নিহত পঙ্কজ চন্দ্র শীল ঝালকাঠি শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড়ে একটি সেলুনে কাজ করতেন।
সে শহরের বাহের রোড এলাকার নরেন্দ্রনাথ শীলের ছেলে। তিনি বারইকরণ শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন। মাদকাসক্ত হওয়ার কারণে স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো ছিল না বলেও জানায় পুলিশ। নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানান, মাত্রসাত দিনের মাথায় ক্লুলেস হত্যাকাÐের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। পঙ্কজশীল হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত স্ত্রীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাবাসাদকরা হয়েছে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছেন।