অনলাইন ডেস্কঃ বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমায় নিজেদের বাজারে লিটারে ৭ দশমিক শূন্য ৬ রুপি দাম কমাল পাকিস্তান সরকার। জুনে প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৪ দশমিক ৫২ রুপি। যা আগে ছিল ৮১ দশমিক ৫৮ রুপি।
পাকিস্তানে পেট্রোল মূলত গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালাতে ব্যবহার করা হয়। এর আগে গত ৩০ মে দাম কমানোর প্রস্তাব করে পাকিস্তানের তেল ও গ্যাস নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (ওজিআরএ)। পাকিস্তানের গণমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
করোনাভাইরাস মহামারি ঠেকাতে দেশে দেশে লকডাউন জারি থাকায় চলতি বছরের শুরু থেকেই বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম হুহু করে কমে যায়। এর মধ্যে শুরু হয় সৌদি আরব ও রাশিয়ার মধ্যে তেলের দাম যুদ্ধ। এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের তেলের দাম ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঋণাত্নক হয়ে যায়। সব মিলিয়ে খুব খারাপ সময় পার করতে হচ্ছে বড় বড় তেল উৎপাদকদের। তাই ওজিআরও জুন থেকে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটার ৮১ দশমিক ৫৮ রুপি থেকে কমিয়ে ৭৪ দশমিক ৫২ রুপি করার প্রস্তাব করে।
তবে পেট্রোলের দাম কমানোর প্রস্তাব করলেও হাইস্পিড ডিজেলের দাম সামান্য বাড়িয়েছে নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। লিটারে ৫ পয়সা বাড়ানো হয়েছে।অর্থাৎ, প্রতি লিটারের দাম ৮০ রুপি ১০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৮০ রুপি ১৫ পয়সা করা হয়েছে। ডিজেল মূলত দেশটিতে পরিবহন ও কৃষিখাতে ব্যবহার করা হয়। তবে এই ডিজেলের দাম বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতি বাড়াবে না বলে মনে করছে সরকার। ফসল সংগ্রহের মৌসুম শুরু হওয়ায় ডিজেলের চাহিদা বাড়ছে। সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে ডিজেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার।
কমানো হয়েছে কেরোসিনের দামও। লিটার প্রতি ১১ দশমিক ৮৮ রুপি কমিয়ে ৩৫ দশমিক ৫৬ রুপি করা হয়েছে। যা আগে ছিল ৪৭ দশমিক ৪৪ রুপি।আজ থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হয়েছে।কেরোসিন রান্নার জন্য চুলার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশেষত প্রত্যন্ত অঞ্চলে, যেখানে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বা পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হয় না।
এই ঘোষণার পরপরই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে সস্তা জ্বালানি দিচ্ছে পাকিস্তান।’ ওই টুইটে তিনি বলেন, আমরা আবার পেট্রোল, হালকা ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমিয়েছি। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য সব দেশের তুলনায় আমাদের এখানে সবচেয়ে সস্তা জ্বালানি ব্যয়। ভারতে প্রায় দ্বিগুণ। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল—সবাই জ্বালানি খাতে আমাদের চেয়ে ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ বেশি ব্যয়বহুল।’