অনলাইন ডেস্কঃ পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, জিয়াউর রহমান বন্দুকের নলের মুখে পেছনের দরজা দিয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিলেন। বিচারপতি সায়েমকে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করতে বাধ্য করেন।
সোমবার (৩০ মে) বিকেলে শরীয়তপুরের সখিপুর থানার চরকুমারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বর্ধিত সভা ও সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য জিয়া ‘হ্যাঁ’ ‘না’ ভোট করে। সেই নির্বাচনে জিয়া একাই প্রার্থী ছিলেন। নিজেই বিচারকদের আদালতের রায় লিখে দিতেন। অনেক মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে ফাঁসি দিয়েছেন। দেশে হত্যা-গুম ও খুনের রাজনীতি চালু করেন। বঙ্গবন্ধুদের খুনিদের সাক্ষাৎকারই প্রমাণ করে জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টারমাইন্ড। জিয়ার মরণোত্তর বিচার করা এখন সময়ের দাবি। জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়াও একই কায়দায় ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিলেন। আওয়ামী লীগের আন্দোলনের কারণেই অল্প কয়েকদিনের মাথায় খালেদা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ২০০১ সালের পর খালেদা জিয়া হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করেন। জাতীয় নেতা শাহ এমএস কিবরিয়া, আহসানউল্লাহ মাস্টারসহ অনেক জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়। ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। তারা আওয়ামী লীগের মতো টানা ১৩ বছর ক্ষমতায় থাকলে আওয়ামী লীগের একজন নেতাকর্মীকে বাঁচিয়ে রাখতো কিনা তা নিয়েই সন্দেহ আছে।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতায় থাকতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দেশের সম্পদ লুটেপুটে খেয়েছে, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস করেছে, বিদেশে অর্থ পাচার করেছে। আর ক্ষমতায় না থাকতে পেরে দেশকে অস্থিতিশীল করতে আগুন সন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করেছে। তাই দেশের মানুষ আর তাদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। বিএনপি এখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে নামসর্বস্ব দলে পরিণত হয়েছে। আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে তারা দেশ-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এদেশের জনগণ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বিএনপি জানে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তাই তারা মাঝে মধ্যেই নতুন ফর্মুলা নিয়ে হাজির হয়। ক্ষমতায় আসতে হলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। বিদেশি প্রভুদের কাছে গিয়ে লাভ নেই।
চরকুমারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফাইজুর রহমান মোলার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আক্তার সরদারের সঞ্চালনে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মোল্লা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য জহির সিকদার, জেলার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক কাওসার আহমেদ তকি, থানার সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার, সহ-সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মানিক সরদার প্রমুখ।