নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আমের জুসের সাথে চেতনা নাশক খাইয়ে স্কুল পড়ূয়া নিজ মেয়েকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ধর্ষক ঐ কলঙ্কিত পিতা
লিটন মিয়া (৪৫) কে আটক করে পুলিশ। সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের রামরায় এলাকয় এ ঘটনা ঘটেছে । আটককৃত লিটন মিয়া নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার মরাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা এবং সে পেশায় রিক্সাচালক। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা হাজেরা বেগম বাদী হয়ে স্বামী লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
সোমবার চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কাদের জানান, ধষির্তা স্কুল ছাত্রী চৌদ্দগ্রামের স্থানীয় একটি স্কুলের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী। গত ৭ এপ্রিল লিটন মিয়া আমের জুসের সাথে চেতনা নাশক দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে তার মেয়েকে ধর্ষন করে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় ভয় দেখিয়ে নিজ মেয়েকে একাধিক বার ধর্ষন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি মেয়ে তার ছোট বোনকে জানালে ছোট বোন মা হাজেরাকে জানায়। পরে হাজেরা ৩০ মে স্বামী লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিযুক্ত লিটন মিয়াকে আটক করে।
ধর্ষিতার মা হাজেরা বেগম জানান, তিনি একজন মাটি কাটার শ্রমিক। প্রতিদিনের মত তিনি মাটি কাটতে চলে যান। ঘটনার প্রথম দিনে লিটন মিয়া রিক্সা চালিয়ে চৌদ্দগ্রাম বাজার থেকে আমের জুস কিনে নিয়ে তার সাথে চেতনা নাশক দ্রব্য খাইয়ে তার মেয়ে কে একাধিক বার ধর্ষন করে এবং ধর্ষনের ঘটনা প্রকাশ করলে হত্যার হুমকি দিয়ে পরে আরো একাধিকবার ধর্ষণ করে। আমি এই নরপিশাচের বিচার চাই।
চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, ধর্ষিতার মায়ের অভিযোগ পেয়ে আমরা মামলা গ্রহন করি। অভিযুক্ত বাবা লিটন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে ও ভিকটিমের মেডিকেল সম্পন্ন করতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।