অনলাইন ডেস্কঃ কুমিল্লায় দিন দুপুরে প্রকাশ্যে সিনেমা স্টাইলে সিটি কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা কে হত্যায় ব্যবহৃত দুটি বিদেশী পিস্তল, ম্যাগজিন ও গুলি সহ একজন কে আটক করেছে পুলিশ।
আলোচিত জোড়া খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রসহ আটক সন্ত্রাসী জুয়েল, কাউন্সিলর হত্যাকান্ডে জড়িত প্রধান আসামী শাহআলমের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তবে পলাতক প্রধান অভিযুক্ত সন্ত্রাসী শাহআলম কে এখনো আটক করা যায়নি।
এর আগে আটককৃত আসামীদের দেয়া তথ্য, সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা, তথ্য প্রযুক্তি সহায়তা এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল ৩০ ডিসেম্বর রাত সারে ১১ টায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোর্ট উপজেলার, গান্ধাচি মজুমদার বাড়ি এলাকায় অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম।
এসময় লাঙ্গলকোট থানা পুলিশের সহায়তায় নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয় জুয়েলকে।
পরে তার দেখানো স্থান থেকেই উদ্ধার করা হয় পিস্তল ও গুলি । চিহিৃত সন্ত্রাসী মোশারফ হোসেন জুয়েল (৪৮) ঐ এলাকার দেলোয়ার হোসেন মজুদারের ছেলে। গত ২২ নভেম্বর কুমিল্লা নগরীর ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা কে গুলি করে হত্যা করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল জানায়, হত্যাকান্ডের পরদিন রাতে জুয়েলের বাড়িতে গিয়ে তার হেফাজতে অস্ত্রগুলো রেখে সেখান থেকে পালিয়ে যায় শাহআলম।
১ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহম্মেদ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, জুয়েলের কাছ থেকে কাউন্সিল সোহেল হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ১টি সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ বিদেশী পিস্তল, একটি বিদেশি রিভলবার, দুটি ম্যাগজিন ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ২টি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এর আলোচিত কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা কিলিং মিশনে মামলার প্রধান আসামী শাহআলম ব্যবহার করেছিলো বলে স্বীকার করেছে জুয়েল।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানায় পলাতক ও আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।