শনিবার যোহরের নামাজের পর পশ্চিমগাঁও গাজী সাহেদ জামে মসজিদ থেকে বর্ণাঢ্য জশনে জুলুছ শুরু হয়ে পুরো পৌর এলাকা ঘুরে পৌরসভা রোড নোয়াখালি রেলগেট সামাবেশে মাথ্যমে সমাপ্ত হয়।
এই জুলুছে উপজেলা কয়েক হাজার মুসলমান যোগদান করে। নানা রঙ-বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন ও কলেমা খচিত পতাকা নিয়ে কয়েক হাজার মুসল্লী জুলুছে যোগদান করেন। জশনে জুলুছে নেতৃত্ব আহলে সুন্নাতে ওয়াল জামাতের নেতৃবৃন্দ৷
আহলে সুন্নাতে ওয়াল জামাতের সাধারন সম্পাদক মাওলানা রবিউল হোসেন হেলালীর তত্বাবধায়নে জশনে জুলুছ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন গেয়াস উদ্দিন আল তাহেরী৷
মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়েরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়াম্যান মহাব্বত আলী, মোকরা দরবার শরিফের পীর নেছার উদ্দিন, মাওলানা এহছানুল হক মোজাদ্দেদী৷
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন মাওলানা আবদুল ওয়াদুদ, মাওলানা হেলাল উদ্দিন, মাওলানা আবদুল বারী, মাওলানা মির হোসেন, মাওলানা জাফর হোসেন সিদ্দিকী, মাওলানা ইসমাইল হোসেন, মাওলানা জাফর আহমেদ, মাওলানা এমদাদুল হক মোজাদেদী, মাওলানা মোয়াজেম হোসেন জালালী, মাওলানা সৈয়দ আহম্মেদ সুমন, মাওলানা সাইফুল ইসলাম আনসারী, মাওলানা আবু তাহের আবেদি সহ শতঅশত ওলামায়েকরাম ও হাজার হাজার সুন্নী ভক্ত গন উপস্থিত ছিলেন৷
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, প্রিয় নবীজি(দঃ)-এর শুভাগমনে আল্লাহ পাক ফেরেশতাদের নিয়ে উর্ধ্বাকাশে জুলুছ করেছিলেন, যা কোরআন-হাদিসের আয়াত দ্বারা সুস্পষ্ট প্রমানিত। এছাড়াও এটি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। এই জুলুছ নতুন কিছু নয়। তাই মিলাদুন্নবী (দঃ) উপলক্ষে জুলুছ করা উত্তম কাজ। দিন দিন জুলুছে লোক সমাগম বাড়ছে বলে সমাবেশে বলা হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) উদযাপনে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আলোচনা সভা শেষে দেশ ও জাতির কল্যান কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এসময় বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য প্রতিবছরই ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) উপলক্ষে লাকসামে বর্ণাঢ্য জশনে জুলুছের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
এসময় লোকজন কলেমা খচিত পতাকা, বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে জুলুছে অংশ গ্রহণ করে। নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর, নারায়ে রিসালাত ইয়া রাসুলাল্লাহ (দঃ) ধ্বনিতে মূখরিত হয়ে উঠে আকাশ বাতাস। এছাড়াও মন মুগ্ধকর নাতে রাসুল (দঃ) পরিবেশন করতে থাকেন। জুলুছের সামনে ছিল শ’খানেক মোটরসাইকেলের বিশাল বহর।