কচুয়া(চাঁদপুর) প্রতিনিধি
চাঁদপুরের কচুয়ার উজানী গ্রামের যুবক জুয়েল রানারলাশ উদ্ধার করেছে চান্দিনা থানা পুলিশ। শুক্রবার জুয়েল রানারলাশ চান্দিনা উপজেলার নবাবপুর বাজার টাওয়ার পাইভেটহাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়চান্দিনা থানা পুলিশ। নিহত জুয়েল রানা উজানী গ্রামেরমিয়াজির বাড়ির সফিউল্যাহ মিয়াজীর ছেলে। এ বিষয়েনিহতের বড় ভাই সোহেল মিয়াজী চান্দিনা থানায় মামলাদায়ের করে।নিহত জুয়েল নবাবপুর বাজার টাওয়ার পাইভেট হাসপাতালেমৃত্যুর পূর্বে তাঁর ভিডিও বক্তব্যে বলেছে স¤্রাট নামেএকজন তাকে মারধর করেছে। নিহতের মা হনুফা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টারদিকে জুয়েল রানা খাবার খেয়ে নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়ে।পরদিন শুক্রবার সকালে অপরিচিত এক নাম্বার থেকে তার মায়েরনাম্বারে কল আসে জুয়েল দূর্ঘটনায় আহত হয়েছে। পরেতারা পাশ^বর্তী চান্দিনা উপজেলা নবাবপুর টাওয়ারহাসপাতালে গেলে তার লাশ দেখতে পায়। পরে খবর পেয়েচান্দিনা থানা পুলিশ নিহত জুয়েল রানার লাশ থানায় নিয়েযায়। নিহতের ভাই সোহেল মিয়াজীর ও স্বজনদের দাবি জুয়েলরানাকে পাশ্ববর্তি চান্দিনা উপজেলার নবাবপুর লেভেসগ্রামের মাদক কারবারী স¤্রাট মোবাইলে ডেকে নিয়েচান্দিনার নবাবপুর এলাকার লেভেস গ্রামে পরিকল্পিত ভাবেস¤্রাট ও তাঁর দলবল নিয়ে সারা রাত অমানবিকভাবে শাররীকনির্যাতন করে হত্যা করে মাদক ব্যবসায়ীরা । সোহেলমিয়াজী আরো জানান,আমার ভাই জয়েল রানা নবাবপুরটাওয়ার হাসপাতালে মৃত্যুর পূর্বে ভিডিও বক্তব্যে হত্যকারীর নাম বলে গেছে। আমরা জুয়েল রানার হত্যাকারীদেরদৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এব্যাপারে চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃসাহাবুদ্দিন খান জানান,আমরা ৯৯৯ ফোন পেয়ে নবাবপুর টাওয়ার হাসপাতালে যাই ।সেখানে যাওয়ার পর জানতে পারি হত্যাকারী চক্রের ২জন তাকেএকটি অটোরিক্সায় তুলে দিয়ে হাসপাতালে পাঠায় ।হাসপাতালে আসার পরেও জুয়েল এক ঘন্টার বেশি সময়জীবিত ছিলএবং কিছ’ কথাও বলেছে । সকাল ১০ টার দিকেমৃত্যু ঘটে। এব্যাপারে নিহতের ভাই সোহেল বাদী হয়েএকটি মামলা দায়ের করে । হত্যাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টাচলছে।