অনলাইন ডেস্কঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে ফেসবুক লাইভে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে জাহাঙ্গীর শেখ, জহির মেম্বার, মেহেদী হাসান মিঠু, ফারুক হোসেন ও শহিদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানায় অভিযোগটি দায়ের করেন সদর উপজেলার ১ নম্বর চরমটুয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন।
অভিযোগে জয়নাল আবেদীন বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতিক্রমে দলের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ৮৭ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি অনুমোদন করেন।
কমিটি প্রকাশের পর ওইদিন বিকাল ৩টার দিকে সদর উপজেলার পশ্চিম কাশিপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর শেখ উপজেলার উত্তর চাকলা গ্রামের হোসেনের ছেলে মো. ফারুক হোসেনের ফেসবুক আইডি থেকে জহির মেম্বার, মেহেদী হাসান মিঠু, শহিদের সহযোগিতায় লাইভে এসে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপিকে অপমানজনক কথা বলেন এবং তার বিরুদ্ধাচারণ করে সম্মানহানী করেন।
যুবলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন আরও বলেন, লাইভ ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ হলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম বিদ্বেষ, ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর শেখ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মচারী হয়েও কীভাবে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপমানজনক আচারণ করে? অবিলম্বে জাহাঙ্গীর শেখের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
উল্লেখ্য ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে ফেসবুক লাইভে এসে জাহাঙ্গীর শেখ বলেন, ’আমরা একরামুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছি। ওবায়দুল কাদের মিথা কথা বলেন। ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর নোয়াখালী শহীদ ভুলু ষ্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে আপনি প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে খায়রুল আনম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে একরামুল করিম চৌধুলী এমপির নাম ঘোষণা করেছেন। এর পর পূর্নাঙ্গ কমিটি না দিয়ে কি ভাবে আপনি আহবায়ক কমিটির মধ্যে স্বাক্ষর করেন।’
এ বিষয়ে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহেদ উদ্দিন বলেন, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে ফেসবুক লাইভে বিরুদ্ধাচারণ করার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।