মিন্টু ইসলাম শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধিঃ
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বগুড়ার শেরপুর পৌর এলাকার কামার শিল্পের ব্যবসায়ীরা রাত দিন সবসময় কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। শেরপুর পৌর এলাকার কামার শিল্পের প্রধান বিরেন বলেন ঈদ ও বড় কোনো উৎসব এলে আমরা ব্যস্ত সময় পার করি। এরপরে সারাবছর খুব একটা কাজ হয়না এজন্য এখন কুরবানির ঈদ পশু কুরবানি হয় এজন্য দিনরাত কাজ করছি। ঈদ উপলক্ষে এছাড়াও শেরপুর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের উল্লেখযোগ্য ইউনিয়ন গুলোর মধ্যে খানপুর, খামারকান্দি, মির্জাপুর, ভবানীপুর, বিশালপুর, কুসুম্বী, গাড়িদহ সহ প্রায় সব হাটবাজারেই ব্যস্ত সময় পার করছেন কামারশিল্পীরা। শেরপুর উপজেলার বহু পুরোনো কয়েরখালি হাট বাজারের কামারপল্লী এখন লোহা ও হাতুড়ির টুং-টাং শব্দে মুখরিত। হাতুড়ির আঘাতে তৈরি হচ্ছে দা, বঁটি, চাকু, কুড়াল, ছুরি, চাপাতিসহ ধারালো সব যন্ত্রপাতি। অনেকে আবার বাড়িতে থাকা পুরাতন দা-বঁটি, ছুরি সান দেওয়ার জন্য নিয়ে আসছেন তাদের কাছে। সারা বছর কাজ সীমিত থাকলেও কোরবানির ঈদের এ সময়টাতে বেড়ে যায় তাদের কর্মব্যস্ততা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেরপুর পৌর এলাকায়, খানপুর ইউনিয়নের কয়েরখালি হাট মির্জাপুর হাট, ছোনকা হাটের কামার পল্লী সহ বিভিন্ন স্থানে এসব সরঞ্জাম তৈরি করা হচ্ছে। দোকানগুলোতে প্রতি পিস চাকু ১০০-২৫০ টাকা, দা ৪০০-৬০০, ৫০০ টাকা কেজি দরে চাপাতি, জবাই ছুরি ৮০০-১২০০ এবং বটি ৩০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কয়েরখালি হাটের কর্মকার ফেরদৌস জামান জানান, আমার বাবা দীর্ঘদিন এই পেশা করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। আমরাও অনেক ধরে বাবার এ পেশাকে বেছে নিয়েছি। এখন নতুন ছুরি ও চাপাতি তৈরী করছি। ঈদের একদিন আগে সবার বাড়ির পুরাতন দা বটি মেরামত ও ধার কাটাতে ব্যস্ত হয়ে পরবো।
শেরপুর বারোদুয়াড়ী হাটের কর্মকারেরা জানান, সারা বছর টুকটাক বেচাকেনা হলেও প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগে ভালো বেচাকেনা হয়। কোরবানির ঈদ এখনো প্রায় কয়েকদিন বাকি। তবে এখন থেকে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হয়েছে।