বাঘা (রাজশাহী) সংবাদদাতাঃ
রাজশাহীর বাঘা উপজেলাধীন আড়ানী পৌরসভায় এক সপ্তাহে পরপর ছয়টি বাড়িতে চুরির ঘটনায় আতংকে এলাকাবাসী। অভিযোগ বাড়ি তালাবন্ধ করে এক দিনের জন্যও বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাওয়ার অবস্থা নেই। এমনকি বাড়িতে একা থাকারও উপায় নেই এলাকা বাসীর। কোন ফাঁকে চোরের দল এসে সব কিছু সাফ করে দিচ্ছে, তার সন্ধান মিলছে না।
স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, শুক্রবার ১২ আগস্ট আনুমানিক বিকাল ৫ টায় আড়ানী মাষ্টারপাড়া গ্রামের মসুর মেকারের বাড়িতে প্রাচীর টপকে ঢুকে চোরের দল। সেই সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে নগদ ৬০ হাজার টাকা সহ ২টা ল্যাপটপ নিয়ে চলে যায়। এর আগে আড়ানী চকশিংগরা গ্রামের শান্তা হালদারের বাড়িতে ঘটে চুরির ঘটনা। একই গ্রামের তুষার মোল্লার বাড়িতে ঘটে ভয়ংকর এক ঘটনা। তার স্ত্রীকে বেধে রেখে বড়ে থাকা নগদ দের লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেই ডাকাতের দল। এছাড়াও গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) আড়ানী মাস্টার পাড়া গ্রামের বাবুল মোহরী বাড়িতে ১৫ বছরের সন্তানকে রেখে বাঘা উপজেলা সদরে তার স্ত্রী কে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যায়। আনুমানিক বিকাল ৪টার সময় বাড়িতে থাকা সন্তানের হাত পা বেধে রেখে চুরি করে, চোরের দল। এমন অবস্থায় পৌর এলাকায় একটি আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।
এবিষয়ে বাবুল মোহরী জানান, আমার সন্তানকে বেধে রেখে বাড়িতে থাকা নগদ ৬০ হাজার টাকা, নয় আনা ওজনের ২টি সোনার চেন , চার আনার ১টি সোনার আংটি, ২৪ থেকে ২৫ টি প্যান্ট ও ২২ থেকে ২৩টি সার্টের পিচ সহ বানানো ১০ থেকে ১২সেট প্যান্টসার্ট ও ত্রীপিস নিয়ে পালিয়ে গেছে চোরের দল। এই বিষয়ে থানায় মিসিং ডাইরি করেছি ।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী তুষার জানান, আমি ব্যবসার কাজে পুঠিয়া ঝলমলিয়া যায় এবং ফিরে আসি রাত আনুমানিক ৮টায়। এসে আমার স্ত্রীর সাথে কথা বলে আবারো আড়ানী বাজারে যায় সেই সুযোগে চোরের দল আমার বাড়ির পিছন দিক দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। এবং পিছন থেকে আমার স্ত্রীকে আক্রমণ করে মারধোর করে হাত মুখ বেধে আমার ছোট ৪বছরের শিশুকে পর্যন্ত আক্রমন করে এবং বিছানার চাদর দিয়ে ঢেকে রাখে আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার সন্তান প্রাণে বেঁচে যায়। প্রায় ১০ মিঃ এর মধ্যে ঘরে থাকা নগদ দের লক্ষ টাকা, ২’৫ভরি সোনার অলংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। এই বিষয়ে থানায় মিসিং ডাইরি করা হয়েছে।
উপজেলা বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম ভরসা পুলিশই। পুলিশ এলাকায় বৈঠক করে আরজি পার্টি গড়ে দিলে ওয়ার্ডের মানুষ তাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে অবশ্যই সহযোগিতা করবে বলে জানায় এলাকার আতংকিত জনসাধারণ।
এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। তদন্ত চলছে খুব দ্রুত চোরদের আইনের আওতায় আনা হবে।