অনলাইন ডেস্কঃ প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দকী বলেছেন, বিচার বিভাগে কয়েকজন অসৎ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা (নিম্ন আদালতের বিচারক) আছেন এবং তাদের সঙ্গে কোনোভাবেই আপস করা হবে না।
তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি হওয়ার পর আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি, দেশের অধিকাংশ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা সৎ। আর যে কয়জন অসৎ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা আছেন তাদের চিহ্নিত করা হবে এবং আমি তাদের সঙ্গে কোনো আপস করব না।’
শনিবার ঢাকার জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (জেএটিআই) ফিমেল জজ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যেসব বিচারিক কর্মকর্তা ভালো কাজ করবেন তাদের প্রতি বছর ‘প্রধান বিচারপতি’ পুরস্কার দেওয়া হবে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দকী বলেন, (নিম্ন আদালত) বিচারকদের জ্যেষ্ঠতা, সততা ও যোগ্যতার কথা বিবেচনা করে বদলি ও পোস্টিং দেওয়া হবে এবং এ বিষয়ে কোনো আপস করা হবে না। বিচার বিভাগ সঠিক পথেই আছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের ট্যাক্স থেকে আমাদের বেতন দেওয়া হয়। তাই বিচারপতিদের লক্ষ্য হওয়া উচিত তাদের বিশ্বাস অর্জন করা এবং দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। যাতে বিচারপ্রার্থীদের ন্যায়বিচারের জন্য দিনের পর দিন আদালত চত্বরে ঘোরাঘুরি করতে না হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের সকল সূচককে সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে এবং বিচার বিভাগ উন্নয়নের অংশীদার।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগের সকল পর্যায়ে শুধু নারীদের আন্দোলনই বৃদ্ধি পেয়েছে তাই নয়, বিচার বিভাগে তাদের অংশগ্রহণও বৃদ্ধি পেয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, জুডিশিয়াল সার্ভিসে ৫৪৪ জন নারী বিচারক আছেন। যা মোট বিচারপতির ২৮ শতাংশ এবং এই সংখ্যা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক ও অনুপ্রেরণাদায়ক।