রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল)
মুন সৌন্দর্যে সত্যিকারের চাঁদের মতই ছিল। এক অর্থে তাকে ফুলও বলা চলে। অসম্ভব মেধাবী ও ধর্মভিরু মুন অঙ্কুরেই ঝড়ে গেল।
ডেঙ্গুজ্বর মাত্র ২৩ বসন্তে ওর জীবন প্রদীপ চিরতরে নিভিয়ে দিল। মুনের স্বপ্ন ছিল উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে শুধু পরিবারেই নয় দেশজুড়ে আলো ছড়াবে। ভূমিকা রাখবে বঙ্গবন্ধুর সোনারবাংলা বিনির্মাণে।
কিন্তু অকালে চির অচেনার দেশে পাড়ি জমিয়ে তার ও পরিবারের সব স্বপ্ন তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল। মহুয়া আক্তার মুন আই ইউ বি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সি এস সি, ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।
প্রায় সপ্তাহ খানেক ডেঙ্গুজ্বরের সঙ্গে লড়াই করে সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে ঢাকার বাসাবোর বাসায় ১৮ সেপ্টেম্বর ভোর
৬টা ৩০ মিনিট নিভে যায় তার প্রাণ। ওই দিন দুদফা জানাজা শেষে বাদ আসর বরিশালের বানারীপাড়ার গাভা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে চির নিন্দ্রায় তাকে শায়িত করা হয়। ২০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বাদ আসর পশ্চিম গাভা জামে মসজিদে মুনের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া-মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়। মুন ঢাকা ওয়াসার শ্রমিক লীগ নেতা,বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সম্মিলিত ঐক্য পরিষদের সহ সভাপতি, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, ঢাকাস্হ বরিশাল বিভাগ সমিতির আজীবন সদস্য:,ঢাকার সবুজবাগ থানাধীন উন্মুক্ত শরীর চর্চা কেন্দ্রীয় সংগঠনের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বরিশালের বানারীপাড়ার ঐতিহ্যবাহী গাভা হাই স্কুলের একাধিক বারের শিক্ষানুরাগী সদস্য আঃ মান্নানের একমাত্র মেয়ে।
মুনকে হারিয়ে বাবা-মা ও ছোট দুই ভাই পাগলপ্রায়। পরিবারে বইছে শোকের মাতম। স্বজন,শিক্ষক সহপাঠী,পরিচিতজন, প্রতিবেশীজন সবার চোখে কান্নার সাঁতার। এদিকে বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শাহে আলম,বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ফারুক,সদর ইউপি চেয়ার আঃ জলিল ঘরামী ও বানারীপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি রাহাদ সুমন মুনের কবর জিয়ারত করে রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।