নিজাম উদ্দিন তজুমদ্দিন থেকেঃ
ভোলার তজুমদ্দিনে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের দড়ি চাঁদপুর গ্রামের নির্জন একটি বাগান থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক যুবক খোকন (২২) লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের হাজির হাট এলাকার ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার বাড়ির আব্দুল খালেকের ছেলে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম (১৫) মঙ্গল সিকদার বাজারে বাবুল মাষ্টারের কাছে প্রতিদিন কোচিং এ প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেট পড়তে যাওয়া-আসার পথে গত প্রায় ১ বছর আগে থেকে ভিকটিমকে পাশের এলাকার খোকন (২৪) প্রেমের প্রস্তাবসহ আজেবাজে প্রস্তাব দিয়া আসছিল। ভিকটিম বিবাদী খোকনের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে বিভিন্ন কৌশলে মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ পূর্বক প্রেমের প্রস্তাব দেয়। খোকন ভিকটিম কে প্রেমের প্রস্তাব দিয়া ফুসলাইতে থাকে।
গতকাল ১৮/০৮/২০২২ ইং তারিখ সকালের ৯ টার দিকে ভিকটিম প্রাইভেট পরার জন্য মঙ্গল সিকদার বাজারে বাবুল মাষ্টারের কাছে গেলে খোকন মঙ্গল সিকদার বাজার হইতে ভিকটিমকে ফুসলাইয়া বিবাহ করিবে মর্মে অটো যোগে তজুমদ্দিন থানাধীন ৩নং চাঁদপুর ইউনিয়নের দড়ি চাঁদপুর সাকিনস্থ ৬নং-ওয়ার্ডের মেঘনা নদীর বেরিবাধের পশ্চিম পাশে নির্জন কলাগাছের আড়ালে নিয়া খোকন ভিকটিমকে বিবাহের প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখাইয়া ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে।
বিষয়টি স্থানীয় লোকজন টের পাইয়া বিবাদী খোকন ও ভিকটিম কে আটক করিয়া রাখে এবং স্থানীয় লোজজনে ছেলে মেয়েকে বেড়িবাধের পাশে মাহফুজ মাজির বাড়ি নিয়া যায় পরবর্তিতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমের মাকে সংবাদ দিলে তিনি তাৎক্ষনিক সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছাইয়া তাহার নাবালিকা মেয়ে ঝুমুর কে বেড়িবাধের কাছে মাহফুজ মাঝির বাড়িতে পেয়ে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানেন। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তজুমদ্দিন থানায় ফোন দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্হলে উপস্থিত হলে পুলিশের সহায়তায় বিবাদী খোকন ও ভিকটিম কে তজুমদ্দিন থানায় নিয়ে আসেন।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে ১৮ আগষ্ট তজুমুদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নাম্বার ১০, ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৯(১) এই খোকনকে মামলা চালান দেওয়া হয়েছে। এবং ভিকটিমকে মেডিকেল টেস্টের জন্য ভোলা সদর পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে তজুমদ্দিন থানার এস আই শামীম সর্দার জানান, অভিযুক্তর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরন ও ধর্ষনের দায়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামী খোকনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।