বরগুনা সংবাদদাতাঃ
কাতার প্রবাসী মেয়ে শাহিনুরের বাড়িতে মা শাহাভানু (৭০) নামের এক বৃদ্ধাকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকারীরা তাকে হত্যা করে মেয়ের ঘরে থাকা দুই লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ। পুলিশ বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠায়। সোমবার গভীর রাতে আমতলী উপজেলার দক্ষিণ টেপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ টেপুরা গ্রামের মৃত জব্বার হাওলাদারের বিধবা স্ত্রী শাহাভানুর কাতার প্রবাসী মেয়ে শাহিনুরের নতুন বাড়িতে নাতি অন্তরকে নিয়ে বসবাস করতেন। সোমবার রাতে শাহাভানু ও তার নাতি অন্তর (১২) ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। ওই রাতে হত্যাকারীরা ঘরের পেছন দিকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ঘরে প্রবেশ করে। পরে বৃদ্ধা শাহাভানুকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে রাখে ঘরে থাকা দুই লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
মঙ্গলবার সকালে নাতি অন্তর ঘুম থেকে জেগে ঘরের দরজা খোলা দেখে এবং নানিকে খুঁজে পাচ্ছে না। নানিকে না পেয়ে মোবাইল ফোনে অন্তর মা শাহিনুরকে জানায়। ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টার পর নাতি অন্তর পুকুরে তার লাশ ভাসতে দেখে ডাকচিৎকার দেয়। পরে স্থানীয়রা এসে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠায়।
বৃদ্ধার লাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুর রহমান। পুলিশের ধারণা হত্যাকারীরা বৃদ্ধাকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে রেখেছে।
শিশু নাতি অন্তর জানায়, সকালে ঘুম থেকে জেগে দরজা খোলা দেখি কিন্তু নানিকে দেখি না। পরে মাকে ফোনে জানাই। বেলা সাড়ে ১১টায় পুকুরে নানির লাশ ভাসতে দেখে ডাকচিৎকার দেই।
নিহতের বড় জামাই হানিফ হাওলাদার বলেন, হত্যাকারীরা ঘরের পেছন দিয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ঘরে প্রবেশ করে আমার শাশুড়িকে হত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন, শাশুড়ি এলাকার বিভিন্ন মানুষের স্বর্ণালংকার রেখে টাকা ধার দিতেন। হত্যাকারীরা ওই স্বর্ণালংকার ও ঘরে থাকা দুই লক্ষ টাকা নিয়ে গেছে।
ইউপি সদস্য মোঃ আবু সালেহ বলেন, বৃদ্ধার মেয়ে কাতার প্রবাসী। তিনি তার নাতি অন্তরকে নিয়ে মেয়ের নতুন বাড়িতে বসবাস করতেন। কিন্তু সোমবার সকালে তার লাশ পুকুরে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেই। পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুর রহমান বলেন, বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনা রহস্যজনক। তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।