যশোর সংবাদদাতাঃ
বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসাসেবায় অনিয়ম ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস। সরকারি নিয়মনীতি না মেনে চলা প্রতিষ্ঠান ও মানুষের সঠিকভাবে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত না করলেই নিচ্ছেন কঠোর ব্যবস্থা। গত ১ মাসে দুই ভুয়া ডাক্তারকে জেল জরিমানার ব্যবস্থা ও ২৪ টি হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করে সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন। অনিয়মকারী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান মালিকদের কাছে এখন তিনি আতংকে পরিণত হয়েছে।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য বিভাগ অভিযান চালিয়ে গত ২৮ মে থেকে এই পর্যন্ত যশোর জেলার ২৪ টি অবৈধ হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করেন। বন্ধ ঘোষণা করা অবৈধ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো যশোর শহরের মুজিব সড়কে অবস্থিত পিস হসপিটাল ছাড়াও তার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রোটারি হেলথ সেন্টারের প্যাথলজি ল্যাব, ঘোপ জেল রোডের এমসি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেন্ট্রাল হসপিটালের প্যাথলজি ল্যাব ও ভোলা ট্যাংক রোডের নুরুল ইসলাম ডায়াবেটিক সেন্টার, বন্ধন হসপিটাল, মাতৃসেবা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার,
মণিরামপুর উপজেলার মডার্ন ক্লিনিক, রাজগঞ্জ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কপোতাক্ষ ক্লিনিক ,পারবাজার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রয়েল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বেনাপোল পৌর শহরে অবস্থিত বেনাপোল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, স্টার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ঝিকরগাছা উপজেলার ফেমাস মেডিকেল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ছুটিপুর প্রাইভেট ক্লিনিক, আয়েশা মেমোরিয়াল মেডিকেল সেন্টার, মোহাম্মদ আলী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সীমান্ত ডায়াগনস্টিক এন্ড ডায়াবেটিস কেয়ার, ছুটিপুর প্রাইভেট ক্লিনিক, সালেহা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও আনিকা ক্লিনিক, বাঘারপাড়া উপজেলার হাজি ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
এছাড়া সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাসের নেতৃত্বে গত ১৭ মে সদর উপজেলার চুড়ামনকাটির ছাতিয়ানতলা মল্লিক পাড়ায় ক্যান্সার ও যৌন চিকিৎসক খন্দকার কবীর হোসেনের ডেরায় অভিযান চালানো হয়। এসময়প্রতারণা ও অবৈধভাবে ওষুধ তৈরির দায়ে খন্দকার কবীর হোসেনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা । ৯ জুন যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডে অবস্থিত পিয়াসলেস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অভিযান চালিয়ে ডিগ্রি ছাড়াই বড় মাপের ডাক্তার সেজে অর্থ বসা হাবিবুর রহমানকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন বেসরকারি কোন হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসাসেবার নামে প্রতারণার সুযোগ দেয়া হবেনা। অনিয়মের কোন অভিযোগ পেলেই অ্যাকশান। কোনভাবেই অনিয়মের কাছে মাথা নত করবেন না তিনি।