বিল্লাল হোসেন, যশোর থেকেঃ যশোরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করার অপরাধে ১৩ যুবক ও তিন কিশোরকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুরু হওয়া অভিযানে তাদের আটক করা হয়। তাদেরকে তল্লাশি করে চারটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি দ্রুত বিচার আইনে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন এসআই খালিদ হোসেন । স্থানীয়রা বলছেন, আটককৃতরা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য।
আটককৃতরা হলেন, শংকরপুর জমাদ্দার পাড়ার জামালের ছেলে রানা হোসেন, সাদেক আলী ফকিরের ছেলে রানা, মৃত কবীর শেখের ছেলে হাসিব শেখ, বটতলা এলাকার লিটনের ছেলে নয়ন, ছোটনের মোড়ের শাহাজান মোল্লার ছেলে মুরাদ মোল্লা, নতুন টার্মিনার এলাকার জলিলের ছেলে ইমন, মুরগী ফার্ম গেটের লিয়াকতের ছেলে ইব্রাহিম, আকবরের মোড়ের রেজাউলের ছেলে নাহিদ, আশ্রম রোডের নুর ইসলামের ছেলে আল আমিন, জমাদ্দারপাড়ার মৃত কবীর হোসেনের ছেলে অভিষেক, বটতলা মসজিদ এলাকার আমিরুল মোল্লার ছেলে মোহিন মোল্লা, একই এলাকার লাবলু গাজীর ছেলে রাব্বী গাজি, মেডিকেল কলেজ রোডের মোশারেফের ছেলে আজগর।
এছাড়া আটক কিশোরদের মধ্যে রয়েছে কলেজ রোডের নাজমুল শেখের ছেলে আশিক শেখ, একই এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে রাসেল ও ছোটনের মোড়ের মুরাদের ছেলে হৃদয়।
মামলায় বাদী খালিদ হোসেন উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার রাত নয়টার পর তারা খবর পান শংকরপুর ইসহাক সড়কের একটি সেলুনের সামনে একদল উঠতি বয়সী যুকেরা নিজেদের ক্ষমতা পরিদর্শণের জন্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া করে জনগনের মাঝে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
খবর পেয়ে তিনি সহ এসআই আ.ফ.ম মনিরুজ্জামান, কাজী আবু জোবায়ের, আবুল হাসান, রেজাউল করীম, মহিউদ্দিন, শংকর কুমার বিশ্বাস, তাপস মন্ডল, আব্দুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, বিমান তরফদার, এএসআই কাবিল হোসেনের সমন্বয়ে একটি বিশেষ টিম ওই এলাকায় অভিযান চালান।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় ওই ১৬ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে রানা, হাসিব শেখ, নয়ন ও রানা হোসেনের প্রত্যেকের কাছথেকে একটি করে বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, যশোরে আফজাল হত্যা ও কাউন্সিলার আসাদুজ্জামান বাবুলের উপর হামলাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় উত্তপ্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। এলাকায় আতংক বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মাঝে।