গঙ্গাচড়ার কে,এন,বি তে কমিটি-শিক্ষক দ্বন্দ্ব, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

আরো শিক্ষা সারাদেশ
শেয়ার করুন...

সানজিম মিয়া, রংপুর থেকেঃ
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জলধর চন্দ্র ক্ষিতীশ এর বিরুদ্ধে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের স্বাক্ষর রেজুলেশন বইয়ের স্কুলের উন্নয়নে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দে নিম্নমানের ও ভূয়া ভাউচার প্রস্তুতের অভিযোগ করেছেন ম্যানেজিং কমিটি৷

ঘটনাটি গঙ্গাচড়া উপজেলার ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র পদুয়ার বাজার সংলগ্ন কে,এন,বি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়| বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম জানায়, চলমান বরাদ্দের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আমাকে কিছু জানায়নি| তিন বছর থেকে তিনি কমিটির কারো সাথে যোগাযোগ করেনি, তাহলে রেজুলেশনে প্রতি মাসেই আমাদের স্বাক্ষর হল কিভাবে|

অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার (৩০ মে) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের বারান্দায় প্রাচীরের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এর উপরেই খাঁচার মতো গিরিলের তৈরি জানালা দেওয়া হবে৷
গ্রিলের জানালা তৈরীর ব্যাপারে কচুয়ার বাজারে স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহিন মিয়ার কাছে ৩৫ হাজার টাকার কাজের চুক্তি করেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জলধর চন্দ্র (ক্ষিতীশ)| তবে ভাউচার দিতে হবে ৬৫ হাজার টাকার এতে গিরিল ব্যবসায়ী শাহিন মিয়া অসঙ্গতি প্রকাশ করেন| ভুয়া ভাউচার তৈরির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন গ্রিল ব্যবসায়ী শাহিন মিয়া|

ঘটনার বিষয়ে কে,এন,বি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এর সাথে কথা হলে তিনি জানায়, কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় আমি তাদের সাথে যোগাযোগ করিনি৷ তবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাকে হয়রানি করার চেষ্টা চালাচ্ছে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বা সদস্য না হয়েও বরাদ্দের বিষয় নিয়ে নোহালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি হোসেন সুরুজ, তিনি আমাকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি প্রদান করে স্কুলের নবনির্মিত দেওয়ালের সামনের অংশ ভেঙ্গে ফেলছে|
তিনি আরো বলেন তার বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দেওয়ার পার, সে বলেন যে কোনো কর্মকাণ্ডে কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠান দেয়াল ভাঙ্গার তো কোন প্রশ্ন ওঠেনা? মিথ্যা ভাউচার বানানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ বানোয়াট বলে দাবি করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

দেয়াল ভাঙ্গার বিষয়ে নোহালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি মজলুম হোসেন সুরুজ বিষয়টি স্বীকার করেন৷ তিনি বলেন করোনাকালীন সময় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ছিলেন৷ করোনাকালীন সময়ের পর থেকে আর নতুন কমিটি গঠন হয়নি, তাই আমরা এখনো কমিটিতে বলবৎ আছি। আমাদের না জানিয়ে প্রধান শিক্ষক কিভাবে বরাদ্দ তুলতে পারে? আমি সরকারের একজন প্রতিনিধি, আমার দায়িত্ব সরকারি কাজটুকু সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা।
আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ স্বরুপ নিম্নমানের ইটের দেয়ালের একাংশ ভেঙে দিয়েছি বলেও জানান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি মজমুল হোসেন সুরুজ৷


শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.